কে এই মাদক সম্রাট মিজান
স্টাফ রিপোর্টার: মিজান রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা জেলে পাড়া,দিয়ার মানিক চক, চর কোদালকাটি সিমান্ত দিয়ে পাচার হওয়া হেরোইন চক্রের মুল হোতা মিজান।মিজানের সাবেক বাড়ি সিমান্ত এলাকা কোদাল কাটি জেলে পাড়া সিমান্ত এলাকায় হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজশে হেরোইন এনে মিজানের নিজস্ব বলয়ের লোকের দ্বারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করে। মিজানের সাম্রাজ্যের ভিত্তি এতটাই শক্ত স্থানীয়রা তার প্রজা। তার বিশাল চক্রের মাধ্যমে পাচার হয় হেরোইন। এই হেরোইন রাজধানী সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরলেও বন্ধ হয়না মিজানের হেরোইন কারবার। জেলে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে হেরোইন চক্র।চক্রটি সকল মহল ম্যানেজ করেই এই কারবার করেন জানিয়েছন বিশ্বস্ত একটি সূত্র। মিজানের টাকার কাছে জিম্মি গোদাগাড়ী লালবাগ (সরমংলা) গ্রামের বাসিন্দারা। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় মাদক সম্রাট মিজানকে সবাই কুর্ণিশ করে চলতে হয়। প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় প্রতিবাদীর উপর বিভিন্ন নির্যাতন। মিজানের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলছেনা কেউ। চিনেন কিনা জানতে চাইলে কপালে ভাজ করে মাথা নাড়িয়ে না বলেন। তবে তাদের এই আগ্রাসনের স্বীকার স্থানীয় অনেক যুবক। হেরোইন সেবন করে অনেক পিতা – মাতার স্বপ্ন ছাই হয়ে গেছে। কিশোর, যুবকরা আক্রান্ত এই মরন নেশায়। প্রথমে সেবন করতে ফ্রিতে দেয় এই চক্রটি পরবর্তীতে নেশাগ্রস্ত হয়ে গেলে নেশাগ্রস্ত যুবক, কিশোর গ্যাং গুলোকে হেরোইন পাচারে কাজে লাগান ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা – মিজান। অন্যদিকে মিজানের বিরুদ্ধে রয়েছে গোদাগারী থানায় মাদকের মামলা। মামলা মরন নেশা হেরোইনের হিরোরা তোয়াক্কাই করেনা। কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক বনেগেছে মাদক সম্রাট মিজান। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গোদাগাড়ীর স্থানীয় কিশোর ও যুবক! সারাদেশে পাচার হওয়া হেরোইনের মুল হোতা মিজান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে হেরোইনের আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জানান মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।মাদক কারবারি যেই হোক তাদের ছাড় নেই।