গণপূর্ত প্রকৌশলী ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর আব্দুল্লাহ্ আল মামুন তারেক রহমান সর্ম্পকে কুটক্তি মন্তব্য করেও বহাল তবিয়তে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর শশুর বাড়ির নিকট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের একজন এম পি ছিলেন সেই সুবাদে তাকে শশুর বাড়ি এলাকায় প্রথমে রংপুর পরে দিনাজপুর পোষ্টিং বাগিয়ে নেন। এই মামুন হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ন প্রকল্প মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ সরকারের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার জন্য রংপুর ৬ টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করান শেখ হাসিনা দিয়ে মডেল মসজিদের নকশা অনুযায়ী না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্মান তড়িগড়ি করে ছয় টি উদ্বোধন করে কোটি কোটি হাতিয়ে নেন। ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের আমলে ৩১ ব্যাচ বিসিএস অল ক্যাডার ফোরামের যুন্ম সাধারণ সম্পাদক হন গোটা মন্ত্রণালয় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সেই সময় ৩১ ব্যাচের হোয়াটস্ গ্রুপে কুরুচি পূর্ন মন্তব্য করেন দেশ নায়ক তারেক রহমান সর্ম্পকে যে তিনি রাজনীতি মুচলেকা দিয়ে চলে গেছেন লন্ডন বসে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন এমন মন্তব্য করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। রংপুর থাকা কালীন রংপুরের অনেক বিভাগীয় দপ্তরের দরপত্র আহবান থেকে শুরু করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করছেন । তারপর নিজ এলাকা শশুর বাড়ি দিনাজপুর পোষ্টিং বাগিয়ে খেয়াল খুশি মত কাজ করেন কারন তার অত্মীয় এম পি হওয়ার দাফটে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সহ কাউকে তোয়াজ করতেন না ২০২২-২৩ , ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এপিপির কাজ প্রধান প্রকৌশলীর প্রজ্ঞাপন অমান্য করে এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। তার ফেসবুকে হাসিনা সরকারের উন্নয়নের বার্তা তিনি প্রতিদিন লিখতেন যে পদ্মা সেতু পাচ মিনিট পার হলাম আলহামদুল্লাহ্ জননেত্রি শেখ হাসিনার উসিলায়। আব্দুল্লাহ আল মামুন ফেসবুক ছিল যেন এক সরকারি কর্মকর্তার ফেসবুক নয় এ যেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নের প্রচার সেল। এই জায়গায় আব্দুল্লাহ আল মামুন থেমে থাকিনি তিনি তার নিকট অত্মীয় এম পি কে ফুলেল শুভেচ্ছার ছবি পোষ্ট সহ দিনাজপুরে সাবেক অর্থ মন্ত্রী ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সহ দিনাজপুরের সকল ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের এমপি দের তিনি ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বুয়েটে তিনি ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন। গত সপ্তাহে আব্দুল্লাহ আল মামুন কে দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগ হতে মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হয়। আব্দুল্লাহ আল মামুন বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলায় বৃহওর ফরিদপুর লোক আব্দুল্লাহ আল মামুন সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা বিশ্বাস ও আস্থা। এই আব্দুল্লাহ্ আল মামুন চাকুরী জীবনের শুরুতেই কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন নির্মান নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক রিপোর্ট ও দুদক তলব করলেও ফ্যাসিবাদ সরকারের দাফটে বার বার পার পেয়ে যান এখন সময় এসেছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের হাসপাতাল ভবন লে- আউটে ভবনের আয়তন কমিয়ে দেন আব্দুল্লাহ আল মামুন হাসপাতাল সকল ইতিহাস রেকর্ড ভঙ্গ করে টেন্ডার হওয়া হাসপাতাল ভবনের ১০টি পাইলের প্রাক্কলন করেন প্রতিটি প্রাক্কলন পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মোট পাচ কোটি টাকার প্রাক্কলন করেন এবং গোপনে টেন্ডার এস এইচ বিল্ডার্স নামে কাজ পাইয়ে বিল পরিশোধ করে দেন এই মাফিয়াখ্যাত প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। এই আব্দুল্লাহ্ আল মামুন মাগুরা গণপূর্ত বিভাগে নয় মাসে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করেন। মাগুরা গণপূর্ত বিভাগ হতে সাত দিনের জন্য ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্ব পেয়ে দশ লক্ষ টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করে টাকা তুলে ভাগাভাগি করে নেন। এই আব্দুল্লাহ্ আল মামুন যেখানে কর্মস্থল ছিলেন সেখানেই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন। মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের আইবি কাজ অন লাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় তিনি কাউকে কিছু মনে করতেন না তার ফেসবুক দেখলে বোঝা যায় তার বিলাস বহুল জীবন বিমান যাতায়াত তেমন একটা করেন না দেশের বাহিরে একাধিক ভ্রমন এর মধ্যে ভারতে আছে তার দশ বার ভ্রমন এযেন তিনি আলাউদ্দীনের চেরাগ পাওয়ার মত গল্প। এই আব্দুল্লাহ্ আল মামুন কে বিচার আওতায় আনার জন্য একাধিক সুশীল সমাজ প্রতিনিধি মন্তব্য করেন।