ঢাকা | মে ১৮, ২০২৫ - ১২:৪৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ভারতীয় প্রেসকিপশনে লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুরে জনমিতি পরিবর্তন করছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ

  • আপডেট: Sunday, May 18, 2025 - 6:45 am
  • পঠিত হয়েছে: 2 বার

বিশেষ প্রতিনিধি: ১৯৪৭ সালে রায়টের সময় হতে ১৯৬৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধের অব্যবহিত পর পর্যন্ত ভারত থেকে বিতাড়িত মুসলিম মুহাজিরদের জন্য তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান সরকার ঢাকার মিরপুর, মুহাম্মদপুরে প্রায় সাড়ে চার হাজার একর জমি অধিগ্রহন করে। এই মুহাজিরদের পুনর্বাসনে হাউজিং উইং গঠন করা হয় এবং ১৯৭১ সালে হাউজিং এন্ড সেটেলমেন্ট ডিরেক্টোরেট গঠিত হয়। ভারতে ধর্মীয় সহিংসতার কারনে বাস্তুচ্যত এই গোষ্ঠির লোকজন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করায় ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ নামে পরিচিতি পায়। কেবল মাত্র ধর্মীয় পরিচয়ে বাস্তুচ্যুত উর্দুভাষী এই মানব সম্প্রদায় নব সৃষ্ট বাংলাদেশে নতুন করে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জেনেভা ক্যাম্পের মতো অলিখিত কারাগারে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়। ঐতিহাসিক ভাবেই মোহাম্মদপুরের আদি বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ভারত বিদ্বেষ বিরাজমান ছিল, যা বাংলাদেশে ভারতের তাবেদার আওয়ামীলীগের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়ায়। এই অঞ্চলের লোকজন সবসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি এন পি) এর ভোট ব্যাংক হিসাবে বিবেচিত হতো। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভারতীয় প্রেসকিপশনে এখানকার জনমিতি পরিবর্তনে পরিকপ্লনা নিয়ে মাঠে নামে। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে যেভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে , তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আওয়ামী নাম ধারী ভারতীয় দালালদের পুনর্বাসন করে গেছে, এখনও যাচ্ছে। মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ধানমন্ডির মতো দামী জায়গায় প্লট;ফ্ল্যাট পেয়েছেন ফ্যাসিবাদ কায়েমের অন্যতম দোসর সচিব থেকে শুরু করে নানা স্তরের আমলারা; পুলিশ; জুডিশিয়ারি; হালুয়া রুটি খাওয়া শ্যামলমিত্র, মোজা বাবু মার্কা সাংবাদিক; অরুনা বিশ্বাস-বন্যাদি-শাওনের মতো আলো আসবেই গ্রুপের বিবেকহীন সংস্কৃতি কর্মীরা। বিভিন্ন এজেন্সি ; আওয়ামী -যুবলীগ-ছাত্রলীগের  গুন্ডা ; মোসাহেব পেশাজীবি ও ব্যবসায়ী যারাসারা দিন ফ্যাসিবাদের বয়ান ফেরি করে ফিরতেন তারাই এখানে জাগৃকের প্লট / ফ্ল্যাট পেয়েছেন। আর যারা পেয়েছেন এ কাজে সহযোগিতা করা জাগৃকের নিজস্ব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাগণ।  

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের  মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটের আসাদ এভিনিউয়ে, ‘গৃহায়ণ কনকচাঁপা ‘ ও সাত মসজিদ রোডের ডি-টাইপ কলোনিতে গৃহায়ণ দোলন চাপা নামের প্রকল্প এমনই দুটি প্রকল্প । প্রকল্প দুটিতে ৪৩০ টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মান চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে অগ্রাধিকার পাওার কথা ১৯৬০ সাল থেকে বসবাসকারি বাসিন্দাদের। দুঃখজনক হলেও সত্যি , আওয়ামীলীগ ও অংগসহযোগী সঙ্গগঠনের নেতা ও দলদাস আমলা তন্ত্র-তারকা ব্যক্তিদের নেক্সাস কে অনৈতিক সুবিধা দিতে গিয়ে এখানকার প্রকৃত বাসিন্দা তথা সাধারন গ্রাহকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আর এই কাজ করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন হাউজিং এর দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট । সুত্রমতে, জাগৃকের এই প্রকল্পে ২৮৮ জন নানা ভাবে বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করতেন। তাদের মধ্যে কারও বরাদ্দপত্র ছিল, কারও সাময়িক বাওরাদ্দ পত্র, কেউবা ডিমান্ড নোট, অফার লেটার এর ভিত্তিতে বসবাস করতেন। জাগৃক ইতোপূর্বে কখনো তাদের অবৈধ বলেনি বা বরাদ্দ বাতিল করেনি। অথচ তারা এখন বাতিলের তালিকায় যুক্ত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন। ফ্ল্যাট বরাদ্দের সব শর্ত মেনে টাকা টাকা পরিশোধ করলেও তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের নাম বাতিল করার উপায় খুজছে জাগৃক ।

লালমাটিয়া মোহাম্মদ পুরে যাদের নাম মাত্র মূল্যে ফ্ল্যাট দিয়েছে জাগৃকঃ

ফ্যাসিস্ট সরকারের ২০২১ সালের ৩ মার্চ নিয়োগদেয়া দূর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আব্দুল্লাহ এর মধ্যে অন্য তম। এই মইন আব্দুল্লাহ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র (RAW) এর এজেন্ট। তিনি ১/১১ এর সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদের সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। ২০০৯ সালে  শেখ হাসিনা সরকারে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের ডিজি নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর হত্যা কান্ডে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

এই তালিকায় রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক নৌ-পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল। তিনি ও তার স্ত্রী দুজনেই জাগৃকের লালমাটিয়ায় ফ্ল্যাট পেয়েছেন।তিনি নবম জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা ছৌধুরীর একান্ত সচিব ছিলেন। পঞ্ছদশ সংবিধান সংশোধন (বিশেষ )কমিটির চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ছিলেন।

একই ভাবে জাগৃকের ফ্ল্যাট বাগিয়ে নিয়েছেন সায়লা ফারজানা- মনিরুল দম্পতি। এই তালিকায় আরও আছেন কবির বিন আনোয়ার, হেলাল উদ্দিন, আবু হেনা মোরশেদ জামান, আহমেদ কায় কাউস, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু সাদেক প্রমূখ।

দোলন চাঁপা ও  কনক চাঁপায় যারা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্লট পেয়েছেনঃ

এই  তালিকায় আছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ হেমায়েত হোসেন। গাজা ও অন্যান্য মাদকে আসক্ত মেধাহীন এই কর্মকর্তা শেখ মুজিবের সারিন্দা বাজিয়ে ১৮৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট বাগিয়ে নিয়েছেন। যদিও  তিনি এর আগেই রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট পেয়েছিলেন। নীতিমালা ভেঙ্গে লটারী ছাড়াই তাকে দোলন চাঁপা ৪ নম্বর ভবনের এ- ফ্ল্যাটটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ভাবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মমতাজ উদ্দিন ৪এর এ/৬ ফ্ল্যাট টি বরাদ্দ পেয়েছেন। সাবেক সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দীন ৪এর এ/৬ ফ্ল্যাট টি বরাদ্দ নিয়েছেন। তারও ঝিলমিল ও পূর্বাচলে প্লট রয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপসচিব, বর্তমানে যুগ্ম সচিব ফরিদুল ইসলাম পেয়েছেন দোলনচাঁপার ৪-বি/৮ নম্বর ফ্ল্যাট টি। এর পাশা পাশি প্রভাব খাটিয়ে তিনি ঝিলমিল ও পুর্বাচলেও প্লট নিয়েছেন। কেসিনো কান্ডে সম্রাট ও জিকে শামীম গ্রেফতার হলে ততকালীন পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের কূ-কীর্তি বেরিয়ে আসে। শহীদুল্লাহ খন্দকারের কেশিয়ার ছিলেন উপ প্রধান সাজ্জাদ ও সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান। অতি উচ্চমাত্রার ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে মুমিতুর ও সাজ্জাদ গ্রেফতার হলে, শহীদুল্লাহ খন্দকারের নব্য ক্যাশিয়ার হিসাবে নিয়ে আসেন এই ফরিদুল ইসলাম কে। ফরিদুল ইসলাম উপপ্রধান হিসাবে , গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ে যোগদান করেই শহীদুল্লাহ খন্দকারের কেশিয়ার হিসাবে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ক্যাডার মার্জ হওয়ার পরে উপসচিব হন, পরে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মপ্সচিব হন।  ফ্যাসিস্ট সরকারের উচ্চাভিলাষী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প অনুমোদন, দরপত্র অনুমোদন ও ভেরিয়েশন পাশ করিয়ে দেয়ার ঠিকা চুক্তি নিয়ে তিনি বিপুল অবৈধ অর্থ কামিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন।

এছাড়াও ফ্ল্যাট পেয়েছেন ঢাকার সাবেক বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান , সাবেক দুদক সচিব মাহাবুব হোসেন, শেখ হাসিনার সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ হাসান জাহিদ তুষার, পূর্ত মন্ত্রী র ম আ ওবায়দুল মুক্তাদিরের পিএস হুমায়ুন কবির, অভিনেতা ড্যনি সিডাক, গায়িকা রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা, আবেদ খান, সাজু খাদেম, চঞ্চল চৌধুরী প্রমূখ।

ভাঙ্গা হয়েছে প্রসপেক্টাসের নির্দেশনাঃ দোলন চাঁপা -কনক চাঁপা প্রকল্পে মোট ৪৩০ টি ফ্ল্যাটের মধ্যে প্রসপেক্টাসের নির্দেশনা  অনুযায়ীপূর্বের বাসিন্দা দের জন্য নির্ধারিত ছিল ২৫৩ টি। গ্রেডেশন ও লটারির মাধ্যমে ১৬৪ টি। বাকি ১৩ টি সাধারন নাগরিকদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ করে বিক্রি করার কথা ছিল। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রণালয়ের জন্য নির্ধারিত কোটা ছিল ১৬ টি। সেখানেও নিয়ম ভেঙ্গে ১৭ টি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬ টিই আবার নিয়ে নিয়েছে জাগৃকের নিজস্ব কর্মকর্তারা।

আওয়ামী দুর্বৃত্তদের অতিরিক্ত সুবিধা দিতে গিয়ে ডিপিপিতে জমির মূল্য বাদ দিয়ে প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য নির্ধারন করেছেন জাগৃকের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা। বিনিময়ে পেয়েছেন আমলাতন্ত্র থেকে অন্যায্য পদোন্নতি, পোস্টিং ও কাছা খুলে দুর্নীতি করার লাইসেন্স। সোনার টুকরা জমির দাম বাদ দেয়ায় প্রতি বর্গফুট ফ্লাটের দাম এসেছে সাড়ে চার হাজার টাকার নিচে। অথচ সবাই জানে মোহাম্মদপুর লাল মাটিয়ায় যে কোন ডেভেলপার কোম্পানির প্রতি বর্গফুট ফ্লাটের দামকম পক্ষে তের হাজার টাকা। অথচ আওয়ামী দলদাসরা, শায়েস্তা খার আমলের রেটে ফ্ল্যাট পেলেও রাষ্ট্রের কয়েক শ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমরা অতি দ্রুত এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

এলাকাবাসির যত অভিযোগঃ দোলন চাঁপায় ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে, মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট ডি টাইপ কলোনি কল্যান সমিতির সভাপতি মারগুব আহমেদ নাজম উদ্দিন একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধিকে বলেন, দোলন চাঁপা -কনক চাঁপা কে আওয়ামী পল্লী বানানো হয়েছে।  সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  জাগৃক কৌশলে আমাদের বাতিল করার জন্য কিছু নতুন শর্ত জুড়ে দেয়। তারা পানির বিল পরিশোধের কাগজ দিতে বলে। কিতু বিগত ৬০ বছরে আমরা কখনও পানির বিল দেই নি, যেহেতু একাউন্ট জাগৃকের নামে। তাই আমরা ভাড়ার সাথেই সব দিয়ে দিতাম। কিতু তারা শুধু বাতিল করার জন্য এ শর্ত জুড়ে দেয়। তবে আমরা বুঝতে পেরে তখন আবেদন করি যে, আমরা হাউজিং এর ভাড়াটিয়া হিসাবে বিল পরিশোধ করব।  তখন পে অর্ডারের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হয়। তারপর সেখান কার বাসিন্দাদের বাতিল করার ছুতো খুজতে থাকে জাগৃক।  এজন্য তারা একটি যাচাই বাছাই কমিটি করে। ওই কমিটির প্রধান (পরিচালক প্রশাসন), সদস্য সচিব নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা বিভাগ-২, সদস্য ডিডি ও সদস্য এসডি। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কে বুঝিয়ে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হারিজুর রহমানকে। এই কর্মকর্তার নিচের গ্রেডের কর্মকর্তা যেখানে সভাপতি সেখানে কিভাবে  তিনি কমিটিতে স্থান পেলেন? যত অনিয়ম হয়েছে, সব কিছুর নাটের গুরু এই হারিজুর রহমান। আমাদের বরাদ্দ পাওয়ার কথা ২৮৮ জন। আমরা আবেদন করি ২৫৭ জন। আর প্রসপেক্টাসে জানানো হয় ২৫৩ জন । এখানে আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। “

আমরা অতি সত্ত্বর এই সকল অনিয়মের তদন্ত পুর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। তবে দূর্নীতিবাজদের তদন্ত কমিটিতে রাখলে তা হবে বানরের পিঠা ভাগেরই নামান্তর। আমরা খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন হায়দার সততার মান দন্ডে অনেকের থেকেই উজ্জ্বল। সেক্ষেত্রে এমন কর্মকর্তা গন তদন্ত কমিটিতে থাকলে ন্যায় বিচার পাবার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে আওয়ামী আদর্শের সিন্ডিকেট সদস্য রা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরে লাল মাটিয়া, মোহাম্মদপুরে প্রায় আড়াই হাজার ফ্ল্যাট নির্মান করে সেখানে দলীয় লোকদের পুনর্বাসন করেছে। গড়ে প্রতি ফ্ল্যাটে ৬ জন করে থাকলে সে খানে প্রায় ১৫ হাজার আওয়ামী দালাল কে স্থায়ী বাসিন্দা করা হয়েছে। ভোটের জনমিতি পরিবর্তনে তা যথেষ্টই ভুমিকা রাখতে পারে। ভারতীয় প্রেসকিপ্শন বাস্তবায়নের কুশীলবরা র,ম, আ ওবায়দুল মুক্তাদিরের সময়ে একজের জন্য ঢের পুরস্কৃত হয়েছেন। অবিলম্বে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এই ভারতীয় দালালদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।