স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি :করোনাভাইরাস দেশের সব প্রবেশপথে কাউকে সন্দেহ হলেই টেস্ট
অনলাইন ডেস্ক- চীন-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। বলা হয়েছে, সব সন্দেহজনক যাত্রীকে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে হবে।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বন্দরগুলোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডাইরেক্টর (সিডিসি) স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি চীন-ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নুতন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেনেটিক সিকুয়েল পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে এসব দেশে ওমিক্রন ধরনের বিএফ৭ উপধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়লে বালাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।’
এতে বলা হয়, ‘বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ওমিক্রনের এই নতুন উপধরন বিএফ৭ অত্যন্ত সংক্রামক। সংক্রমণ এড়াতে এবং দেশের জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
‘আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল, জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাপারে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। এমতাবস্থায় এসব দেশগুলো হতে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ, বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তায় এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার জেলার পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্থাপিত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কর্যকর রাখতে হবে। নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর সমূহে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করতে হবে। সেইসঙ্গে রিস্ক কম্যুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’