ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৫ - ১২:৫১ অপরাহ্ন

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ওপর হামলা, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

  • আপডেট: Monday, January 27, 2025 - 11:39 am
  • পঠিত হয়েছে: 40 বার

টাচ নিউজ: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল দেবার গোসাই। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই ঘটছে বিগত ৪০ বছর ধরে। সিলেবাস, কারিকুলাম, নীতিমালা- সরকার সবই চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ন্যূনতম জীবন ধারণের মতো বেতনটুকুও দিচ্ছে না।

তিনি আরও লিখেছেন, সম্মানীয় শিক্ষকরা যখন অভাব-অনটনের কাছে হার মানেন, একান্ত মানবিক ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্যও রাস্তায় নামতে বাধ্য হন, এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।

আলোচিত এই ইসলামিক বক্তা লিখেছেন, সরকারের উচিত এই শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার করা, জাতির ৪০ বছরের ভুল শুধরে নেওয়া। আশা করি, সরকার সুবিবেচনার পরিচয় দেবে।

পরে পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের এই চেয়ারম্যান লিখেছেন, অথচ একই সময়ে একই পরিপত্রে চালু হওয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২০১৩ সালে সরকারীকরণ করা হয়েছে। শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুল উভয় ধারার শিক্ষকদেরই সম্মানী ছিল ৫০০ টাকা।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ৪০ বছরের ব্যবধানে রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ৩০ হাজারের মতো, স্কুলগুলো ভবন পেয়েছে, নান্দনিক সীমানা প্রাচীর পেয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভাতা ৩ হাজারও না। এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে!

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নি‌য়ে শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, ১৫ হাজার মাদ্রাসার ৭৫ হাজার শিক্ষক বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সারা দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগু‌লো জাতীয়করণের দাবি‌তে বছরের পর বছর আন্দোলন ক‌রে আসছেন শিক্ষকরা। তাদের দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হলেও কোনো ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব মাদ্রাসাগু‌লো জাতীয়করণ কর‌তে হবে। পরে রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাব থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। ওই সময় তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ ছাড়াও লাঠিচার্জ করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।