সিলেট শহরের বিপনী বিতানগুলোতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পূজার বাজার
টাচ নিউজ: সিলেট শহরের বিপনী বিতানগুলোতে দুর্গাপূজার বাজার এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে। আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া এই উৎসবের জন্য শহরের বিভিন্ন শপিং মলে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিপণি বিতানগুলোতে নানা রংয়ের আলোকসজ্জা ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে।
প্রতিবছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে শপিং মলগুলোতে কেনাকাটার হিড়িক পড়ে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাজারে নতুন নতুন পোশাকের ডিজাইন নিয়ে হাজির হয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সিলেটের ক্রেতারা এবার দেশীয় পোশাকের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
শপিং মলগুলোতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, পূজায় সাধারণত ছিমছাম এবং আধুনিক পোশাকের কদর বেশি। ধুতি, পায়জামা, পাঞ্জাবি, শাড়ি ও সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি ওয়েস্টার্ন পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শাড়ির জন্য জামদানি, বেনারসি, রেশমি ও ঢাকা জামদানির পর্যাপ্ত সংগ্রহ রয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন মার্কেট যেমন জিন্দাবাজার, নয়া সড়ক, বন্দর বাজার, আম্বরখানা, রিকাবীবাজারে এর চিত্র স্পষ্ট। দোকানগুলো বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে ক্রেতাদের মনোযোগ টানার চেষ্টা করছে। সকাল থেকে নারী-পুরুষরা শপিং করতে আসছেন। একদিকে উৎসবের আমেজ, অন্যদিকে দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে চলছে আলোচনা।
প্রিয়া দাস নামের এক ক্রেতা জানান, “আমি এখানে কিছুটা কম দামে পোশাক কিনতে আসি, কিন্তু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছেন। পূজার আগে যেসব শাড়ির দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা ছিল, এখন ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
এদিকে, প্রশাসন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা নিয়মিত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন। পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে এ বছর ৪৪১টি এবং মহানগরে ১৫৪টি পূজামণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন যাতে উৎসবটি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়।
সর্বোপরি, সিলেটের পূজার বাজার এখন উৎসবের উন্মাদনায় ভরপুর, যা শহরবাসীর জন্য এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা।