ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ২:০৫ পূর্বাহ্ন

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ: বাহাদুর শাহ

  • আপডেট: Tuesday, November 1, 2022 - 9:44 am
  • পঠিত হয়েছে: 106 বার

টাচ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী।

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ। দল‌টি এককভা‌বে ৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা জানান দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সংবিধান সমুন্নত রেখে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে এবং এককভাবে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। এখনও দেশের জনগণের একটি অংশের ইভিএম সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকায় এবং ভোটারদের অভ্যস্ততা না থাকায় তাদের মধ্যে একটি শঙ্কা কাজ করছে।

শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ, আমরা নির্বাচন কমিশনের ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ স্বতন্ত্রভাবে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে রাজনৈতিক কার্যক্রম করে যাচ্ছে এবং বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা বর্তমানে সাংগঠনিক-ভাবে অধিকতর শক্তিশালী।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বলেন, সারা দেশে আমাদের দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করা হয়েছে। বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও উপজেলা কাউন্সিল করে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের নেতাকর্মীরা অনেক বেশি উজ্জীবিত এবং ঐক্যবদ্ধ।

নির্বাচন নি‌য়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের পাঁচ প্রস্তাব:
১) সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২) নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সরকারের সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত ও নির্বাহী বিভাগের আওতামুক্ত রাখা।
৩) নির্বাচন কমিশনের কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজন মোতাবেক সামরিক, আধা-সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সরবরাহ করতে বাধ্য থাকা।
৪) নির্বাচন কমিশনারের সব পরামর্শ ও নির্দেশনা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার যথাযথভাবে প্রচার করা
৫) নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারালে বদলির ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা।