ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১২:০৮ অপরাহ্ন

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেননি ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম

  • আপডেট: Tuesday, May 7, 2024 - 3:50 am
  • পঠিত হয়েছে: 137 বার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
আসন্ন ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেননি জাতীয় হƒদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম। খ্যাতিমান এই ডাক্তারের সম্মানহানি করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নির্বাচনে প্রচারণা করার মিথ্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সোমবার সরেজমিন ঘুরে ওই এলাকার সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয় সাধারণ ভোটার আব্দুল খালেকসহ একাধিক লোকজন জানিয়েছেন, বিশিষ্ট ডাক্তার আশ্রাফুল হক সিয়াম তার নিজ এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করে থাকেন। এমনকি ঢাকাতেও বিনামুল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকেন। বিশেষ করে এলাকার হƒদরোগে আক্রান্ত রোগীরা ঢাকায় আসলে তাদেরকে চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ কারণে এলাকায় ডাক্তার সিয়াম জনপ্রতিনিধি না হয়েও সবার মধ্যমণি। এজন্য সর্বস্তরের মানুষ তাকে ভালোবাসে।
এলকাবাসী জানান, খ্যাতিমান প্রথিযশা ডাক্তার ডাক্তার সিয়াম এলাকায় আসলে শত শত লোক জড়ো হয় তাকে একনজর দেখার জন্য। আশ্রাফুল হক সিয়ামের জনপ্রিয়তা নিজ এলাকায় তুঙে। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে তার ভক্তরা দূর থেকে তাকে একনজর দেখার জন্য কাছে চলে আসেন। মনে হয় যেন ডাক্তার আশ্রাফুল হক সিয়াম রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মিছিল হয়ে যায় যুবসমাজে। গত করোনা মহামারির সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমের কাছে ডাক্তার সিয়াম পরামর্শ দেন ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে যাবে ডাক্তার’। এমন পরামর্শে স্থানীয় লোকজন খুশি হন।
জানাগেছে, শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প বসিয়ে ডাক্তার সিয়াম গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনামুল্যে চিকিৎসা করান। করোনায় আক্রান্ত রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এরপর থেকেই ডাক্তার আশ্রাফুল হক সিয়ামের শুনাম আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে জনপ্রতিনিধি না হয়েও দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন ডাক্তার সিয়াম।
স্থানীয় লোকজন জানান, একজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর যে গুজব ডাক্তার আশ্রাফুল হক সিয়ামের বিরুদ্ধে উঠেছে তা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার সম্মানহানি করতে এমন মিথ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদতে তিনি খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন। একটি দুষ্টু চক্র আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ভিন্ন পথে ধাপিত করতে নির্বাচন অফিসে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে ডাক্তার সিয়ামের বিরুদ্ধে সম্মানহানি করতে জেলা নির্বাচন অফিসে মিথ্যা ও বানোয়াট নির্বাচনী প্রচারণার অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ওয়াছেল কবির। একইভাবে গতকাল সোমবার ৬ মে মটোরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লার বিরুদ্ধে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করায় ওয়াছেল কবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার ভোটাররা।
অন্যদিকে, নির্বাচন অফিস এসব মিথ্যা অভিযোগ আমলে নেয়ায় নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।