খোরশেদ সরকারের এক অঙ্গে কত রুপ ?
টাচ নিউজ ডেস্ক: খোরশেদ আলম সরকার (৪৮)। তিনি এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বিএনপির গুপ্তচর হিসেবে আওয়ামীলীগের সকল তথ্য ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের প্রায় ডজন খানেক সদস্য এনায়েতপুর থানা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে। অপর দিকে এনায়েতপুর থানায় দালালি সহ অবৈধ বালুর ব্যবসা, স্থানীয় এনায়েতপুর হাটের জায়গা দখল বাণিজ্য সহ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হয়রানি ও সুদের কারবার করে অঢেল সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক বনে গেছেন। প্রভাব প্রতিপত্তির কারনে বহু পরিবার জিম্মি হয়ে থাকলেও মুখ খুলতে কেউ সাহস পায় না। তার কারনে এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের অতি গোপনীয় সকল তথ্য মুর্হুতের মধ্যে বিএনপি নেতাদের কাছে পৌছে যাচ্ছে। একারনে তার বহিঃস্কারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে দলের শীর্ষ নেতাকর্মীরা। অপর দিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এলাকাবাসি ও দলীয় সূত্র অভিযোগ করেন, এক সময়ে তাঁত শ্রমিক খোরশেদ আলম সরকার। তিনি নিরক্ষর। শুধু মাত্র পারিবারিক শক্তি ও বেহায়াপনায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে। সব শেষ প্রভাব খাটিয়ে এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া খোরশেদ সরকারের ছত্র ছায়ায় সম্প্রতি এনায়েতপুরের বিএনপির বিস্ফোরক মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা পাষানকে বণিক সমিতির সভাপতি পদে প্রার্থী করে ব্যবসায়ীদেও জিম্মি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সভাপতিরি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এই খোরশেদ সরকারের পরিবারের প্রায় ডজন খানেক সদস্য বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতা। বিশেস করে তার বড় ভাই এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির যুগ্মআহŸায়ক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক রওশন আলী মন্টু সরকার, চাচাতো ভাই এনায়েতপুর থানা যুবদলের যুগ্মআহŸায়ক আল্লেক চাঁন সরকার, খুকনি ইউনিয়ন বিএনপির আহŸায়ক কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক শহিদুল সরকার, সদস্য সরোয়ার সরকার, জেলা মৎস্য জীবি দলের প্রচার সম্পাদক রবিউল সকার, এনায়েতপুর থানা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক রেজাউল সরকার, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাবিল সরকার তার নিকটতম আত্মীয়। এছাড়া এনায়েতপুর থানা বিএনপি ও জামাতের ডোনার হিসেবে তিনি ভুমিকা রাখেন বলে আওয়ামীলীগের মধ্যে চরম সমালোচনা উঠেছে।
এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা বলেন, খোরশেদ সরকার আওয়ামীলীগের পদব পদবী নিয়ে তার পরিবারের বিএনপি নেতাদের আন্দোলন সংগ্রামের সহযোগিতা করে। বিশেষ করে বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলার আসামি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে তার অবাধ চলাফেরা ও আতাতের প্রমান রয়েছে। অপর দিকে বিএনপির নেতাদের মামলা থেকে রক্ষায় মোটা অংকের অর্থ নিয়ে প্রশাসন ও নিজে ভাগ ভাটোয়ারা করে নেয়ার গুঞ্জন রয়েছে। এজন্য বিএনপির নেতাদের ভরসাস্থল এই আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ সরকার।
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি কর্মসূচি পালনে চরম সমস্যা হয়। তবে এনায়েতপুরের খোরশেদ সরকার আমাদের কিছুটা হলেও সহযোগিতা করেন। কারন তার পরিবারের ডজন খানেক সদস্য বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া মামলা হলে থানায় তদবিরও তিনি করে দেন। এতে কিছু অর্থ খরচ হলেও দলের জন্য সুবিধা হয়। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে অবশ্যই খোরশেদ সরকারের জন্য সিমপেথি থাকবে।
জানতে চাইলে খোরশেদ সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গুলো মিথ্যা, আমার ফ্যামিলিতে জামাত বিএনপির কেউ নাই, দালাল ও অবৈধ বালুর ব্যবসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।