ঢাকা | অক্টোবর ৩১, ২০২৫ - ২:৫৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বিএফআইইউ এবং আদালতের আদেশ অমান্য করে অবরুদ্ধকর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে হিসাব খোলায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ

  • আপডেট: Saturday, October 4, 2025 - 1:55 pm
  • পঠিত হয়েছে: 39 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ (Influential Persons/Domestic PEPs) নামে নতুন হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বি এফ আই ইউ এবং আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জনাব মোহাম্মদ আবু জাফর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) একটি চিঠিতে দেশের সব ব্যাংককে সতর্ক করেছে, যাতে শীর্ষ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কোনো হিসাব খোলা না হয়।

সূত্র জানায়, প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনাব এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে ২১টি নতুন হিসাব খোলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকার তিনটি ব্রাঞ্চে, যার মাধ্যমে লেনদেন কার্যক্রম ও পে অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার। যেখানে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় KYC প্রক্রিয়া ও এস টি আর/এস এ আর দাখিল করা হয়নি। যাহা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৫(১)(ঘ) ও ২৫(১)(ঙ) ধারা অনুযায়ী, এ ধরনের অনিয়ম গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শীর্ষ কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারবেন না। এসব অনিয়মে সরাসরি এমডির সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।

বিএফআইইউর চিঠিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, শাখা ব্যবস্থাপনা এবং এমডি কোনোভাবেই হিসাব জব্দকৃত প্রভাবশালী ব্যক্তি বা তাদের আত্মীয়স্বজনের নামে হিসাব খুলতে পারবে না।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য জানায়নি।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৫(১)(ঘ) ও ২৫(১)(ঙ) ধারায় বর্ণিত বিধান এবং এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুযায়ী এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়। আইনটির ২৫(২) ধারা অনুযায়ী, এসব অনিয়ম/অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায় বহাল থাকবে এবং প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এভাবে জনাব আবু জাফর, এমডি প্রিমিয়ার ব্যাংক পি এল সি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আদালতের আদেশ অবমাননা করে ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল এবং তার পরিবারকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েই যাচ্ছে, ইতিপূর্বে একইভাবে জব্দকৃত হিসাব থেকে ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বের করে দিয়েছে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই কৃতকর্মের জন্য সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছে। এতে করে স্পষ্ট প্রতিীয়মান হয় যে তিনি আওয়ামী লীগের দোসর। এত কিছু করার পরও তিনি এমডির আসনে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। উনি এই ধরনের অনৈতিক কাজগুলো করে যাচ্ছেন এবং ব্যাংকটাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এতে করে কাস্টমারও ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে।

শুধু তাই নয়, বিএফআইইউর (রেগুলারেটরি নির্দেশনা) চিঠির উপর অবৈধভাবে পরিবর্তন বা বিকৃত করে ব্রাঞ্চ গুলোকে সার্কুলার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে আইনের পরিপন্থী।

এ বিষয়ে এমডি সাথে ফোন করে কথা বলে চাইলে, উনি ফোন ধরেননি। ব্যাংকের কয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) নিশ্চিত করেছেন জনাব আবু জাফর (এম ডি) এবং জনাব নওশের আলীর (এ এম ডি) সিদ্ধান্তের বাইরে ইতিপূর্বে কোন কাজ সম্পন্ন হয় নাই।