ঢাকা | এপ্রিল ২৬, ২০২৫ - ৮:৪০ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে

  • আপডেট: Saturday, April 26, 2025 - 2:13 pm
  • পঠিত হয়েছে: 5 বার

স্টাফ রিপোর্টার: শেখ আবির আহমেদ। ছিলেন রাজধানীর দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার আপন বড় ভাই জোবায়ের আহমেদ সৌরভ দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সাবেক প্রভাবশালী সাধারণ সম্পাদক। এদের পিতা হাজী আবুল হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি ও দক্ষিণখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। তার ভাই জোবায়ের আহমেদ সৌরভও একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। ছাত্রলীগ নেতা শেখ আবির ও তার পরিবারের সদস্যরা এখন থাকার কথা জেলে। অথচ আবির প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের গাড়িতে।
সারাদেশের আওয়ামী লীগ নেতারা যখন পলাতক তখন উত্তরার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আবুল হোসেনের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রদল উত্তর সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ।

আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও ছাত্রলীগ নেতা শেখ আবিরকে দক্ষিণখান থানা ছাত্রদলের কমিটিতে আনতে সক্রিয় করেছেন ছাত্রদলের রাজনীতিতে। তাকে আসন্ন দক্ষিণখান থানা ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি করা হবে এমন গুঞ্জন চাউর হয়েছে।

শুধু আবির নয় ঢাকা মহানগর উত্তরের ৪৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাদুর রহমান শুভ এখন সালাউদ্দিন আহমেদের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে সক্রিয়ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতি করছেন উত্তরা পূর্ব থানায়। ছাত্রদল উত্তর সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের নামে প্রভাব বিস্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, হোটেল দখল থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নাই যাতে জড়াচ্ছে না।

এদিকে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিমন হোসেন লাদেনও এখন এই সালাউদ্দিন আহমেদের লোক। লাদেন জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার হত্যার মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার ছবিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শোনা যাচ্ছে, উত্তর ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন তাকে উত্তরা ১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বানাবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুধু এই তিনটি ঘটনাই নয়, উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় আরও অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। সালাউদ্দিন ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে প্রাইভেটকার উপহার নিয়েছেন বলেও দলীয় ফোরামে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যেখানে মোটরসাইকেলে করে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন সেখানে এই সালাউদ্দিন যান নিজস্ব দামি প্রাইভেটকারে চড়ে। মাত্র ৮ মাসেই সম্পূর্ণ পরিবর্ত করেছেন জীবন যাত্রার মান। প্রসঙ্গত, ছাত্রদল উত্তর সভাপতি সালাউদ্দিন জীবনে কখনই গ্রেফতার হননি। ফার্মগেটের সাবেক কাউন্সিলর স্বেচ্ছালীগ নেতা ফরিদ হোসেন ইরানের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় আওয়ামী লীগ আমলে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদকে ফোন করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।