ঢাকা | মার্চ ১৬, ২০২৫ - ৮:০৫ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখার সার্ভেয়ার মামুন এর খুঁটির জোর কোথায়

  • আপডেট: Sunday, March 16, 2025 - 2:04 pm
  • পঠিত হয়েছে: 2 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক:সার্ভেয়ার মামুন নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় ২০১৯ সার্ভেয়ার পদে পুষ্টিং পায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাধর এমপির তদবিরে নারায়ণগঞ্জ ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় বদলি হয়ে আসেন।

গত ৫ আগষ্ট এর পরে বাংলাদেশের ভুমি প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বদলি হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন,আনোয়ার, কানুনগো হাবিবুর রহমান তাদের কোনো ধরনের বদলি হয়নি।

বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায়, ততকালীন আওয়ামীলীগ সরকার আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত সার্ভেয়ার মামুন,আনোয়ার কানুনগো হাবিবুর রহমান বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণ ক্ষেত্রে জমির মূল্য বেশী করে দেখানোর কথা বলে সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে নাল শ্রেণির জমিকে ভিটি এবং বাণিজ্যিক শ্রেণির জমি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা বিভাগ ঢাকাকে মাসিক চাঁদা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখায় বহাল তবিয়তে আছেন।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সার্ভেয়ার মামুনের ইচ্ছার বাহিরে নারায়ণগঞ্জ ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় কোনো সার্ভেয়ার বা কোনো ধরনের ইষ্টাফ বদলি করা হয় না।মামুন এর তৎপরতায় আরও জানা যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো: জাহিদ হাসান সিদ্দিকী তার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন নিয়ন্ত্রণ করে একটা বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছেন।সার্ভেয়ার মামুন ইতোমধ্যে তার চাকরি ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় ছয় বছরের অধিক হওয়ার বর্তমানে এডিসি জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা ইনবেষ্ট করে। তার বদলি আদেশ নবায়ন করে নেন।বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা যায় সার্ভেয়ার মামুন এর পূর্বাচল উপশহরে তার নামে পাঁচ কাটা এবং তার স্ত্রীর নামে পাঁচ কাটা, ঝিলমিল প্রকল্পে তিন কাটা তার স্ত্রীর নামে,উত্তরা নিগার প্লাজায় রুপশী কালেকশান নামে তার একটি কসমেটিক দোকান আছে।যার বর্তমান মূল্য ৩-৪ কোটি টাকা।ঢাকার মিরহাজারি বাগের রুপশী কালেকশান নামে শীটের দোকান আছে।ঢাকার উত্তরাতে ৬ নম্বর সেক্টরের রোড নং ১১ বিথি অহির নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, বর্তমানে ইনটোরিয়রের কাজ চলছে।ঢাকা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর, রোড নম্বর ৩, এ একটি বায়ইং হাওজ খুলছেন।তার বন্ধু সুলতানকে এমডি করছেন।আর তার নাম হচ্ছে ইকরা লাইট হাউজ।তাঁর নিজ বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা শহরের মদনপুরা ইউনিয়নে তার বাপের নামে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার জমি কিনে দিয়েছেন। তার বাবা কিন্তু কৃষক! বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর লোককে সার্ভেয়ার মামুন কোটি টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। বর্তমানে সে পলাতক অনেক মামলার আসামি মামুন তাকে বিভিন্ন ভাবে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতাছে।তাঁর সাথে এসব বিষয়ে কথা বললে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এবং সে বলে আমরা বিভাগীয় কমিশনার,ডিসি,এডিসিকে ম্যানেজ করে থাকি।