গনপুর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলমের অনিয়ম

গনপুর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলমের অনিয়ম
বিশেষ প্রতিবেদক : প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক স্পার্ক (স্ফুলিঙ্গ) থেকে। সাধারণত সকেট-প্লাগে লুজ কানেকশন (দুর্বল সংযোগ), কেব্লে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ ইত্যাদি কারণে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে থাকে। সচিবালয়ে নিম্নমানের ইলেকট্রিক কাজের কারণেই আগুন লেগেছে বলে অনেকের ধারনা। নিম্ন মানের ইলেকট্রিক পন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনেকের ধারনা । সচিবালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম এর তত্ত্বাবধানে কিভাবে নিম্নমানের পন্য ব্যবহার করা হয়েছে তা জানেন নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম।
এর আগেও আজিমপুর দায়িত্বে থাকাকালে তার অনিয়ম উঠে এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। আজিমপুর থাককালে নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির আলমের অপকর্মের শেষ নেই। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায় সচিবালয়ে তিনি বড় অংকের টাকা দিয়ে বদলি হয়ে আসেন, এসেই শুরু করেন নিম্নমানের কাজ যার ফল সচিবালয়ে আগুন লেগেছে বলে অনেকের ধারণা।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক স্পার্ক (স্ফুলিঙ্গ) থেকে। সাধারণত সকেট-প্লাগে লুজ কানেকশন (দুর্বল সংযোগ), কেব্লে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ ইত্যাদি কারণে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে থাকে। এই ঘটনায় কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।
আজিমপুর (ইএম বিভাগ-৩) অনিয়মের চিত্র:
লিফটের টেন্ডারে কারসাজি:
দরপত্রের শর্ত ভেঙে সরকারি ভবনে ৬৮টি লিফট স্থাপনের কাজ রওশন এলিভেটরসকে দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আলম। চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিলেও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়া প্রতিষ্ঠানকেই ‘যোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করেছে তারা। দরপত্রের নথি ও গণপূর্তের বিধি-বিধান যাচাই করে শর্ত লঙ্ঘনের বিষয়টি জানা গেছে।
মতিঝিলের এজিবি কলোনি ও আজিমপুর সরকারি কলোনিতে মোট ৬৮টি লিফট স্থাপনের জন্য দরপত্রটি আহ্বান করে গণপূর্ত অধিদফতর। এর মধ্যে ১৫টি বসবে মতিঝিলে ও ৫৩টি আজিমপুরে। ই-জিপি, সিপিটিইউ (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট), গণপূর্তের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে আহ্বান করা হয় দরপত্রটি।
৬৮টি লিফটের দরপত্র মোট ১২টি লটে আহ্বান করা হয়। এতে অংশ নেয় ড্যাফোডিল ইলেকট্রনিক্স, হরিজন টেকনোলজিস, রওশন এলিভেটরস এবং প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। সবকটি লটে একমাত্র রওশন এলিভেটরসই সর্বনিম্ন দর দিয়েছে।
তবে দরপত্রের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, দরপত্রে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১৭টি শর্ত জুড়ে দিয়েছিল অধিদফতর। লিফট কোম্পানির উৎপাদন অভিজ্ঞতা (ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপ্রেরিয়েন্স) কমপক্ষে ২০ বছর থাকা, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের লিফটের ট্র্যাকশন মেশিন, কন্ট্রোলার, কেবিন ডোর ড্রাইভের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ (মেজর কম্পোনেন্টস) তাদের নিজস্ব কোম্পানিতে তৈরি করা, প্রস্তাবিত লিফটসমূহ অবশ্যই একটি মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান যেমন-টিইউভি/ডিএনভি থেকে সার্টিফাই হওয়া এবং সেসব সার্টিফিকেশন ম্যানুফ্যাকচারিং কান্ট্রির ফরেন মিনিস্ট্রির/মিনিস্ট্রি অব কমার্স/চেম্বার অব কমার্স দ্বারা অথেনটিকেট করানো থাকতে হবে। তবে রওশনের ইতালীয় লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এগুলোর কোনটি পূরণ করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির টিইউভি/ডিএনভি সার্টিফিকেটের সঠিকতা যাচাই না করেই তাদের দরপত্রকে প্রাথমিকভাবে রেসপনসিভ করা হয়েছে যা বিধির লঙ্ঘন।
রওশন এলিভেটরসের ইতালীয় লিফট সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান ‘মোভিলিফট’ এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৫ থেকে তারা লিফটের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ (মেজর কম্পোনেন্টস) তৈরি করা শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বয়স ১৯ বছর। মোভিলিফটের ওয়েবসাইটে কমপ্লিট লিফট ম্যানুফ্যাকচারিং-ডিজাইনিংয়ের কোনো টিইউভি সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। সুতরাং, তাদের দরপত্রে অংশ নেয়ার কতটুকু যোগ্যতা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ এই মোভিলিফটকে ২০১৮ সালেই সরবরাহকারী ব্র্যান্ড হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গণপূর্ত অধিদফতর। ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে গণপূর্তে তালিকাভুক্ত করা হলো এ বিষয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গেছে, গণপূর্তের দেয়া রেট সিডিউল থেকে রওশন এলিভেটরস প্রায় ১৯ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে দরপত্র দাখিল করেছে যা অস্বাভাবিক। গণপূর্তের বেঁধে দেয়া রেটের চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ কম দামে মানসম্মত লিফট স্থাপন করা হয়েছে।
পার্কিং শেড নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ:
রাজধানীর আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতরে কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল মেকানিক্যাল কার পার্কিং শেড নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা মিলেছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত কমিটির মতামতে বলা হয়েছে, অনুমোদন ব্যতীত ডিপিপিতে উল্লিখিত কার পার্কিংয়ের সংখ্যা কমিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করা সমীচীন হয়নি, যা স্থপতির এখতিয়ারবহির্ভূত। সাশ্রয়কৃত অর্থ এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের ভেটিংকৃত নকশা ও শর্তগুলো প্রতিপালনে অবশিষ্ট কাজগুলোর প্রস্তাব সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তা অনুমোদনের আগে দ্রুত কাজ সমাপ্তির লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করলেও চুক্তি সম্পাদন করা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। গত জুলাই (২০২৪) মাসের ২ তারিখে গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
সুত্রে জানা যায়, ই/এম-৩ নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়াজ মো. তানভীর আলমের বিরুদ্ধে মেকানিক্যাল কার পার্কিং শেড নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। অভিযোগের বিষয়ে আমাদের কাজ ছিল সঠিকভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া। সেটাই করা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে, সেটা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তদন্ত করে যা পেয়েছি তাই দেওয়া হয়েছে।
সুত্র জানায়, আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতরে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মেকানিক্যাল কার পার্কিং শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। ১২ তলা স্টিল স্ট্রাকচারের পার্কিং ভবনের জন্য ৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু কাজ না করে বিল তোলার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ডিপিপিতে ২৮৮ গাড়ি রাখার স্থানের কথা বলা হলেও যেটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে রাখা যাবে ২৪০টি গাড়ি। এতে প্রায় ১১ কোটি টাকা কম খরচ হয়। কিন্তু সাশ্রয় হওয়া টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাতের আয়োজন করা হয়েছে। পার্কিংয়ের রং করা ও কভার তৈরির জন্য দুটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। অথচ রং ও কভার তৈরির কাজ প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যেই রয়েছে। ফলে একই কাজ দুইবার দেখিয়ে ঠিকাদার ও নির্বাহী প্রকৌশলী তানভির আলম এই ১১ কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারার আয়োজন করেন। পরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত কমিটি করার নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পওবিপ্র) শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন সার্কেল) শেখর চন্দ্র বিশ্বাসকে সদস্য সচিব এবং গণপূর্ত প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রিজার্ভ) আশেক আহমেদ শিবলীকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি তদন্ত করে যথাসময়ে প্রতিবেদন দেয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কয়েকজন প্রকৌশলী বলেন, আজিমপুর সরকারি কলোনিতে বহুতল মেকানিক্যাল কার পার্কিং শেড নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র এ মূল বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে তদন্ত কমিটিকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেছে। তাই তদন্ত প্রতিবেদন কৌশলে প্রকাশ করা হয়েছে। কার পার্কিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা সত্ত্বে ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রকৌশলী তানভীর।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মতামতে বলা হয়েছে: যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ডিপিপির ব্যত্যয় ঘটিয়ে স্থাপনার ধারণক্ষমতা হ্রাস করে ২৮৮টি কারের জন্য পার্কিং নির্মাণের স্থলে ২৪০টির জন্য স্থাপনা নির্মাণ করা সমীচীন হয়নি। স্থাপনার ধারণক্ষমতা হ্রাস করা স্থপতির এখতিয়ারবহির্ভূত। ধারণক্ষমতা কমানোর বিষয়টি ন্যূনতম প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অনুমোদন করানো উচিত ছিল। তা ছাড়া এর ফলে সাশ্রয় হওয়া অর্থ এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের ভেটিংকৃত নকশা ও শর্তগুলো প্রতিপালন করতে অবশিষ্ট যে কাজগুলোর প্রস্তাব সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তা অনুমোদনের আগে দ্রুত কাজ সমাপ্তির লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করলেও চুক্তি সম্পাদন করা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি।
আজিমপুর নতুন কলোনীর অনিয়ম :
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নতুন কলোনি আজিমপুর ইএম (বিভাগ-৩)-এ গত পাঁচ বছরে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। অথচ আজিমপুর কলোনির বেশিরভাগ ভবন গত তিন বছর আগে নির্মিত। নতুন এসব ভবনে বৈদ্যুতিক খাতে খরচের খুব একটা জায়গা নেই। কিছু পুরাতন ভবন থাকলেও সেখানে গণপূর্তের এ বিভাগের সেবা নেই বললেই চলে। ফলে কলোনির সচেতন বাসিন্দাদের ধারণা, গত ৫-৬ বছরে রক্ষণাবেক্ষণের নামে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ বেশিরভাগই ভুয়া বিল-ভাউচারে ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পরিচালন বাজেটে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের আওতাধীন সংস্থাটির গণপূর্ত ইএম (বিভাগ-৩) আবাসিক-অনাবাসিক সবমিলিয়ে ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। একই বিভাগ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭৬টি কাজের বিপরীতে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করেছে। এ বিপুল টাকার বেশিরভাগই আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সমস্ত টাকা খরচের আয়োজনও শেষ করেছে বলে জানা যায়। গত অর্থবছরগুলোর নথিপত্র ঘেটে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক সেবা সংক্রান্ত যেসব আবাসিক ভবন বা বাসাবাড়ির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তার বেশিরভাগেরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমনকি যেসব বাসায় কাজের নামে বিল করা হয়েছে, সেসব বাসার বাসিন্দারা কিছুই জানেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসিন্দা বলেন, গণপূর্তের ইএম বিভাগের সেবা নেই বললেই চলে। কলোনির বেশিরভাগ ভবন নতুন। সেখানে ছোটখাটো যেসব কাজ প্রয়োজন হয়, আমরা নিজ খরচে তা সমাধান করি। তবে আতঙ্কের বিষয় এই, নতুন ভবনগুলোতে যে ফায়ার বা অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র আছে শুনেছি সেগুলো কাজে আসবে না। এছাড়া বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন বসানোর জন্য প্রায় ৩৮ কোটি টাকা খরচ করেছে। সেখানেও বড় ধরণের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত কলোনির বৈদ্যুতিক রক্ষণাবেক্ষণ ও অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র বসানোর নামে সংশ্লিষ্টরা কী পরিমাণ অর্থ লোপাট করেছে তা তদন্ত করে দেখা।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির ইএম বিভাগ-৩ মূলত আজিমপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে পাঁচ বছর ৭ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর নেওয়াজ। তার সঙ্গে ছিলেন গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সাবেক সভাপতি এ কে এম গোলাম মোস্তফা। প্রভাবশালী এ দুই প্রকৌশলীই প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রক্ষণাবেক্ষণের নামে খরচ দেখিয়েছেন।
তানভির আলমের দূর্নীতির তথ্য নিয়ে কথা বলতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের অফিসে গিয়ে অপেক্ষা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।