বিআইডব্লিউটিসির রাজস্ব বৃদ্ধিতে কাজ করছে অডিট বিভাগ :এইচ এম জাকির
টাচ নিউজ: বিআইডব্লিউটিসির রাজস্ব আনয়নে নিরীক্ষা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল ও দক্ষ কর্মকর্তা রাশিদুর রহমান । তিনি বলেন প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অডিট বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বিআইডব্লিউটিসি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান।এই প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য.প্রকৌশল,মেরিন প্রশাসন ও হিসাব বিভাগের মতো নিরীক্ষা বিভাগ রয়েছে ।যেটা অত্র সংস্থার আন্তঃনিরীক্ষা বিভাগ নামে পরিচিত । সংস্থার নিরীক্ষা বিভাগের লোকবলের সেটআপ অনুযায়ী ৪৭ টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে এ দপ্তরের লোকবল মাত্র ১৩ জন। মোট লোকবল ঘাটতি ৩৪ জন। এতো বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারীর ঘাটতি নিয়েও একজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল মুখ্য নিরীক্ষক মোঃ রাশিদুর রহমান তার স্ব-পদে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শুরুর দিকে । দায়িত্ব গ্রহণের সময় সরকারি নিরীক্ষা অধিদপ্তরের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ৪৫৫টি সরকারি অডিট আপত্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন । দায়িত্ব গ্রহণের পরবর্তী বিভিন্ন সময় দ্বিপক্ষীয়,ত্রিপক্ষীয় সভা আয়োজন এর ব্যবস্থা ও ব্রডসীট জবাব প্রদান করে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের মোট ২৯ টি সরকারি অডিট আপত্তির মীমাংসা করেন। যার আর্থিক বিজড়নের পরিমাণ ৯৭.৫৩ কোটি টাকা।২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের পুর্বের সময়ের তুলনায় সরকারি অডিটের আপত্তির নিস্পত্তির পরিমাণ আরো বেশি মোট ৫০টি আপত্তির মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানা যায় । যার আর্থিক বিজড়নের পরিমান ১৪৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার বেশি। রাশিদুর রহমান তার দায়িত্ব দক্ষতা, সততা এবং সংস্থার সকল বিভাগের সাথে সমন্বয় করে তার বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় এই সফলতা অর্জন করেছে বলে জানা যায় । এছাড়াও দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় বিভিন্ন সভায় আরো প্রায় দুই বছরের ৪০ টি আপত্তির মীমাংসার সুপারিশ রয়েছে, যেগুলোর মীমাংসার পত্র পাওয়া গেলে আপত্তির মীমাংসার পরিমাণ আরো বাড়বে ।আপত্তি গুলো মীমাংসা করার জন্য সরকারি অডিট অধিদপ্তর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায় ।যার আর্থিক বিজড়নের পরিমাণ প্রায় ৯২.০৮লক্ষ টাকা ।অডিট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান চিফ অডিটর মোঃ রাশিদুর রহমান এ বিভাগে যোগদানের পর হতে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকারি অডিট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বিআইডব্লিউটিসির ডেপুটি চিফ অডিট অফিসার আতিকুর রহমান, মুরাদ হাসান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করে সংস্থার সকল পরিচালকবৃন্দের সাথে আলোচনা করে এবং তৎকালীন চেয়ারম্যান মহোদয়দের দিক নির্দেশনায় আজকে বিআইডব্লিউটিসির অডিট বিভাগ অন্যান্য যেকোনো বিভাগের সাথে সমন্বয় রেখে বিআইডব্লিউটিসির উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অডিট অধিদপ্তরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।সরকারি অডিট নিস্পত্তির মতো আন্তঃনিরীক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার মাধ্যমে পুর্ববর্তী যে সকল চিফ অডিটর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । সংস্থার সকল স্টেশনের আন্তঃনিরীক্ষা কার্যক্রম হালনাগাদ করেছেন । এছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনের অডিট পরিচালনা করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভুলত্রুটির সংশোধন করার মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিসির রাজস্ব আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।২০২১ -২০২৩ অর্থ বছরে আন্তঃ নিরীক্ষা আপত্তির মাধ্যমে ৩১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা কর্পোরেশন এর কোষাগারে জমা করা হয়েছে ।এছাড়াও পূর্ববর্তী চিফ অডিটররা যেখানে বছরে সর্বোচ্চ ২৫০-৩০০টি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের দের বেতন ও আনুতোষিক সংক্রান্ত নথিপত্র নিস্পতি করেছেন সেখানে বর্তমান চিফ অডিটর রাশিদুর রহমান ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্রায় ৯০০ টি বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি নিস্পতির মাধ্যমে অডিট বিভাগের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছেন ।যার শতকরা হার প্রায় ৪৪.৩১%। বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন জলযানে বিগত স্বাধীনতার পর থেকে জলযান সমূহে অবস্থানরত জাহাজী কর্মচারীদের রান্নার কাজে গ্যালী হিসেবে প্রতিদিন ৯(নয়)লিটার করে ডিজেল তেল ব্যবহার করা হয় । অডিট বিভাগের একটি রিপোর্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ০৯ লিটার মাসে ২৭০ লিটার ১০৫.৪৩ টাকা দরে মাসে ২৮৪৬৬ টাকা বছরে ১,৭০,৭৯,৬৬০/- টাকা খরচ থেকে কর্পোরেশনের প্রায় ১.৫০কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে । কারণ ঐ সকল জলযানে এখন পরিবেশবান্ধব এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার করা হচ্ছে ।এই ভাবে বিআইডব্লিউটিসি’র অডিট বিভাগ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি স্বয়ং সম্পূর্ণ দক্ষ ওসততার সাথে কাজ করে চলেছে ।এছাড়াও আন্তঃ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতি বছর বিআইডব্লিউটিসির রাজস্ব বৃদ্ধিতে অডিট বিভাগ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। রাশিদুর রহমান তার দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে বলেন বিআইডব্লিউটিসিতে যোগদানের পর থেকেই তিনি সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার অবস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে যথাসাধ্য দিয়ে কাজ করা। অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে প্রতিষ্ঠানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসিকে পুনরায় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে তিনি তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।