বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির ৫ দিনের কর্মসূচি
টাচ নিউজ: জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে সামনে রেখে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা জানার লক্ষ্যে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ চালাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে মার্চ ফর ইউনিটিতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে যেমন দেশের প্রত্যেক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, আমরা মনে করি এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আকাঙক্ষার প্রতিফল ঘটবে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের কাছে ছুটে যেতে চাই। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, পেশাজীবী মানুষের মাঝে জনসংযোগ চালাব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে কাজটি করবে।
হাসনাত বলেন, সরকার ঘোষণাপত্র নিয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেয়নি। অভ্যুত্থানে সব অংশীজনের সাথে আলোচনা প্রয়োজন। আমাদের আহ্বান থাকবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগির কাজ শুরু করবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার সব মানুষের টুটি চেপে ধরেছিল। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে ছুটে যেতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সরকারের কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান নয়। সরকার অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সব রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক সাড়া ও সহযোগিতা রয়েছে। দৃষ্টিভঙ্গীগত কিছু পার্থক্য থাকলেও সবার মতামতের ভিত্তিতেই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের কাজ চলছে।’