ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ৪:৪১ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চলমান সংস্কারের অধিকাংশেরই সাথে বিএনপির ৩১ দফার মিল আছে : মির্জা ফখরুল

  • আপডেট: Thursday, November 14, 2024 - 12:55 pm
  • পঠিত হয়েছে: 25 বার

টাচ নিউজ: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলমান সময়ে চাওয়া সংস্কারগুলোর অধিকাংশেরই আমাদের ৩১ দফার সাথে মিল আছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশো’র এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঘোষিত ‘৩১-দফা’ নিয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থাপনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ডা. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যদলের মধ্যে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক এনজিপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও কেন লেখা, বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়। আমরা একটা সিস্টেমের মধ্যে আছি। আমাদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঘাড়ে বসে থাকা ফাসিবাদকে সরাতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা সংস্কারের বিষয়টি জাতির কাছে আগেই তুলে ধরেছি। যুগপৎ আন্দোলন শরিক দলগুলো ঐক্যমত হয়ে ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধতার মধ্য দিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারব।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ হচ্ছে, আমাদের ৩১ দফা, এটি জাতির সনদ হিসেবে গণ্য করা যায়। জাতীয় ঐক্যমত এবং জাতির ধারক ও বাহক বলা যায়। এটি শেষ দফা নয়, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে এটিতে সংযুক্ত বা বিয়োজন হতে পারে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপি বাস্তবায়ন করতে পারবে সেটির জন্য কমিটমেন্ট বা ওয়াদা করতে হবে। এর বাইরে নয়। বাস্তববায়ন করতে না পারলে আমি মাহমুদুর রহমান মান্না বিএনপির মঞ্চে উঠে আর তাদের পক্ষে কথা বলবো না। বাংলাদেশের আগামীর ভবিষ্যৎ বিএনপির বিচক্ষণতার উপর নির্ভরশীল।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো মানুষের দিন বদলের কর্মসূচি দেয়। তবে এটিতে সাধারণ মানুষের কোনো ভাগ্য বা দিন বদলের পরিবর্তন আসে না। পরিবর্তন আসে ওই রাজনীতি নেতাদের। তাই বলছি, মানুষের ভাগ্যের সাথে ৫ আগস্টের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাতীয় পার্টি বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বিএনপি’র ৩১ দফায় শেষ নয়, সময়ের সাথে সাথে আরো যেন যুক্ত করতে পারি সে বিষয়টি রাখতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠদের শাসন ব্যবস্থা। সংস্কারে সংখ্যালঘুদের কী হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। বিএনপির ৩১ দফার ওপর শুধু ভরসা করছি না, ভরসা রাখতে চাই।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সংবিধানে কিছু মীমাংসিত বিষয় আছে, ধর্ম ইসলাম, আল্লাহর উপর আস্থা, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এ বিষয়গুলো নিয়ে কোনো মঞ্চে আলোচনার প্রয়োজন নেই।

আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক ডক্টর বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট এলিনা খান, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়েতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।