ঢাকা | ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ - ৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রত্যাবর্তনে ভারতের লাভ? মন্ত্রিসভায় চীন-পাকিস্তানবিরোধী ব্যক্তিরা

  • আপডেট: Thursday, November 14, 2024 - 5:34 am
  • পঠিত হয়েছে: 37 বার

টাচ নিউজ: বিপুল ভোটে জিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি তার অনুগতদের পুরষ্কৃত করছেন। দেখা যাচ্ছে যে বেছে বেছে যাদের তিনি তার দলে নিচ্ছেন, প্রত্যেকেই অনুপ্রবেশ, সীমান্ত সুরক্ষা, যুদ্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত।

কারা থাকছেন ট্রাম্পের টিমে? মাইক ওয়াল্টজ, মার্কো রুবিও। দু’জনেই ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের সমর্থক এবং চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত।

অন্য দিকে রয়েছেন স্টিফেন মিলার এবং টম হোম্যান। অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের জন্য একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে জায়গা পেয়েছেন তারা। তাদের পরিচয় জানা যাক।

মাইক ওয়াল্টজ : প্রাক্তন আর্মি ন্যাশনাল গার্ড অফিসার মাইক ওয়াল্টজ চীনের বিরুদ্ধে বরাবর কঠোর অবস্থান নিয়ে এসেছেন। কোভিডের জন্য চীনকে দুষেছেন।

সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুরদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ২০২২ সালের বেইজিং অলিম্পিক্স বয়কটের ডাকও দিয়েছিলেন। তবে মাইক ওয়াল্টজ নরেন্দ্র মোদির প্রশংসক। ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

আবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমালোচক তিনি। ট্রাম্পের টিমে ওয়াল্টজের থাকা ভারত-মার্কিন সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

মার্কো রুবিও : এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে চলেছেন মার্কো রুবিও। চীন, ইরান ও কিউবার ঘোর সমালোচক এবং ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের সমর্থক তিনি।

চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের পাল্টা ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ইউএস-ইন্ডিয়া ডিফেন্স কোঅপারেশন অ্যাক্টের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।

স্টিফেন মিলার : ‘আমেরিকা শুধু আমেরিকানদের জন্য।’ এমনটাই মনে করেন স্টিফেন মিলার। তাকে ডেপুটি চিফ অফ পলিসি পদে নিয়োগ করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টা। যাই হোক, ট্রাম্পের টিমে স্টিফেন মিলারের থাকার অর্থ, আমেরিকার মাটি থেকে অভিবাসীদের বহিষ্কার সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

টম হোম্যান : প্রাক্তন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর টম হোম্যানকে ‘বর্ডার সিজার’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ‘অবৈধ অভিবাসীদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর’ জন্য তার উপরেই আস্থা রাখছেন ট্রাম্প।

এলিস স্টেফানিক : জাতিসঙ্ঘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দেখা যাবে এলিস স্টেফানিককে। ঘোরতর চীনবিরোধী এলিস রিপাবলিকান পার্টির অন্যতম বড় ফান্ডরাইজার। এবং ট্রাম্প অনুগত। সব পরিস্থিতিতেই তিনি ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলে ট্রাম্পের আস্থাও রয়েছে তার উপর।

লি জেলডিন : ৪৪ বছর বয়সী লি জেনডিনকে এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করেছেন ট্রাম্প। লি বরাবরই ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ এবং বামবিরোধী। সোমবার ফক্স নিউজকে তিনি জানিয়েছেন, ‘বামপন্থী’ নিয়মের অপসারণ করে সংস্থার ‘অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি উন্মুক্ত’ করার কাজে মন দেবেন তিনি।