গেটস ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূসের
টাচ নিউজ: সঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আরও সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গেটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক সুজমান সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে তাদের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা গেটস ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এতে মার্ক সুজমান ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ দেখান।’
তিনি বলেন, গেটস ফাউন্ডেশন পৃথিবীব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে আর্থিক সহায়তা ও দাতব্য কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং আইসিডিডিআরবিতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্ত রয়েছে।
গেটস ফাউন্ডেশনকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূসের
বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
প্রেস সচিব বলেন, গেটস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে তাদের সহায়তা বাড়ানোর যে আগ্রহ দেখিয়েছে তার অর্থ হলো- বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি। সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি অন্যখাতে সামাজিক ব্যবসা পরিচালনারও আহ্বা্ন জানান।
এদিকে বুধবার নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় দুপুরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অজয় বাঙ্গা অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া নানা সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবেন বলে জানান। বৈঠকে ইউনূস তার শুরু করা সংস্কারকাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের আরও সহায়তা চান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এ সমর্থনের ঘোষণা দেন।
ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বলেন, অন্তত দুই বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ দেওয়া হবে এবং বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে আরও দেড় বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহনে সংস্কারে সহায়তা করবে।
বৈঠকে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার যে ব্যাপক পরিসরে সংস্কার শুরু করেছে তার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান এবং বিশ্বব্যাংককে তার ঋণদান কর্মসূচি সম্পর্কে সৃজনশীল হতে বলেন।