স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পার্বত্য রাঙামাটি
টাচ নিউজ: রাঙ্গামাটি শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরাও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
শনিবার ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ও সম্প্রীতি সমাবেশ হওয়ার পর শহরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার সন্ধ্যা থেকে রাঙ্গামাটিতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। প্রশাসনের আশ্বাসের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরের একমাত্র লোকাল যানবাহন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে।
রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সংঘটিত ঘটনায় বনরূপা হ্যাপির মোড় এলাকা থেকে শুরু করে বনরূপা বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি রাঙ্গামাটিতে সোমবার শেষ হয়। অবরোধের শেষ দিনে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন ও নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকে।
অবরোধ ও পরিবহন বন্ধ থাকায় গত তিন দিন ধরে কৃষি ও কাঁচা পণ্য নষ্ট হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে বিএনপি
পরাজিত শক্তিরাই পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্টে উস্কানি দিচ্ছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ
রাঙ্গামাটির বনরূপায় শুক্রবারের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন।
সোমবার দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনসহ বিএনপি নেতারা বনরূপার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মানুষের সাথে কথা বলেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে নেতারা বলেন, বিএনপি সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় সম্প্রীতি সমাবেশ করা হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা কৃষক দলের সভাপতি অলক বড়ুয়া রিন্টু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো: মুজিবুল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাসেত অপু, জেলা জাসাসের সভাপতি মো: কামাল উদ্দিন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো: নাজিম উদ্দিনসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারে সহিংস ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ
রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারে শুক্রবার সংঘটিত সহিংস ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ। সোমবার দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের কাঠালতলী মৈত্রী বিহারে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানায় সংগঠনটি ।
পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি শ্রদ্ধালংকার মহাথেরসহ পার্বত্য ভিক্ষু পূণ্যজ্যোতি মহাথের, শীলানন্দ মহাথের, নাইন্দাচারা মহাথের, শীলজ্যোতি মহাথের, মৈত্রী বিহারের সভাপতি পূর্নেন্দু বিকাশ চাকমা অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর একদল দুর্বৃত্ত সংঘবদ্ধভাবে মৈত্রী বিহারে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ পার্বত্য চুক্তির আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে গণতন্ত্রায়ন নিশ্চিত করার দাবিও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।