খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘাত, থানচিতে বিক্ষোভ
টাচ নিউজ: সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলার প্রতিবাদে বান্দরবানে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আদিবাসী ছাত্র ও যুবসমাজ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্তমঞ্চে জড়ো হতে থাকে উপজেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাহাড়ি প্রতিনিধি শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘থানচি আদিবাসী ছাত্র ও যুব সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে তিন রাস্তার মোড় সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে।
মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা ও খুমী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বক্তারা বলেন, লড়াই করে বাঁচতে হবে আমাদের। পাহাড়ে নিজের মাতৃভূমি রক্ষার্থে প্রতিবাদ করতে হবে। পাহাড়ে হাজার বছর ধরে সব সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে কথা বললে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়।
তারা বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থি কিছু সেটেলার বাহিনীর উসকানিতে পাহাড়ি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করা হয়েছে এবং গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে রাঙামাটিতে বৌদ্ধ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে । যারা এসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারে প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘাত, থানচিতে বিক্ষোভ
অবরোধের প্রভাব পড়েনি বান্দরবানে
বক্তারা আরও বলেন, ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও পাহাড়ে কিছু সেটেলার বাহিনী কর্তৃক শান্তিপ্রিয় পাহাড়ি ও বাঙালি নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত। আমাদের আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।
সমাবেশে অংগ্যপ্রু মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মংমে মারমা, জ্যোতি বিকাশ চাকমা, ফ্রান্সিস ত্রিপুরা, থংরে খুমী, রেংহাই ম্রোসহ অনেকে।