নোয়াখালীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা থানায় মামলা
আনিছ আহম্মদ হানিফ,চাটখিল উপজেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাকসুদ আলম নিজ গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।
গত সোমবার (১৫এপ্রিল) রাত ৯ টার সময় উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আনন্দীপুর নূরানী মাদ্রাসার পাশে আজমের চা দোকানের সামনে ছোটন ও শিমুল বাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। হামলা সাংবাদিক নেতা মাকসুদ আলম মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে বর্তমানে সোনাইমুড়ি বজরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলার শিকার মাকসুদ আলমের শৌরচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এস আই গিয়াস উদ্দিন নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাংবাদিক নেতাকে উদ্ধার করে বজরা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সাংবাদিক মাকসুদ আলম বলেন ছোটন ও সিমুল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করে। তিনি আরো বলেন ছোটন ও শিমুল দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় মাদক সেবন ও মাদকদ্রব্য ব্যবসা করে আসিতেছে। আমি সাংবাদিক হিসেবে তাদের এমন কর্মকান্ড বিষয়ে কয়েক বছর পূর্ব থেকে পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করায় পর ছোটন বাহিনীর প্রধান ছোটকে কে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এই সূত্র ধরে ছোটন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার প্রতি আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করে আসছে।
এমতাবস্থায় গত সোমবার আমি সোনাইমুড়ী বাজার থেকে আনন্দীপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে আসার সময় আজমের চা দোকানের সামনে অর্থাৎ আমার বাড়ি থেকে ৫০০ গজ উত্তরে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়। ছোটন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়, তার হাতে থাকা ধারালো চুরির বাড দিয়ে আমার নাকে আঘাত করে মারাত্মক ফাটা রক্ত জখম করে। অন্য সন্ত্রাসীরা আমাকে এলোপাতারি পিটাইয়া আমার বাম পাজরে ফিটে মাথা শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। আমার সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে আমি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন আমি এসআই গিয়াস উদ্দিনকে দিয়ে সাংবাদিক মাকসুদ আলম মেম্বারকে ঘটনার স্থান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মাকসুদ মেম্বার অভিযোগ দায়ের করেছেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।