বিভাগীয় নেতা পরিচয়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ দুর্নীতির অভিযোগ মোঃ মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে
![](https://touchnews24.com/wp-content/uploads/2024/03/F26A5EE1-B2CE-49C0-B627-709D52E36760.jpeg)
টাচ নিউজ ডেস্ক : সচিব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা বরাবর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর চৌগাছা মোঃ মনিরুজ্জামান এর কুকৃত্তির ও দুর্নীতির বিষয়ে একটি অভিযোগ আসে। নিম্নে লিখিত অভিযোগটি তুলে ধরা হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার অফিসে কর্মরত কম্পিউটার অপারেটর
কাম অফিস সহকারী মোঃ মনিরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ আপনার সদয় অবগতির জন্য নিম্নে প্রদান করছি।
(১) খুলনা তেরখাদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে বদলী হয়ে অভয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে যোগদান করার পর কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য ভাতা হতে বিভিন্ন ভাবে অর্থ তছরুপ করার কারনে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলী হোন।
(২) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থেকে বদলী হয়ে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে যোগদান করেন। সেখানেও একইভাবে কর্মচারীদের থেকে বিভিন্ন উপায়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, সেখান থেকে টাকা পয়সার মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলা পঃ পঃ অফিসে বদলী হয়ে আসেন তারপর থেকে যশোর সদর পঃ পঃ অফিসে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেন এবং সে ৫ (পাঁচ) তলা বাড়ির মালিক হয়ে উঠেন এবং তার ছেলেকে বেসরকারী ব্যয়বহুল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করান।
(৩) বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও টাকা পয়সা খরচ করে ম্যানেজ করে। যার কারনে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস দেখান না। তার জন্মস্থান কাশিয়ানী উপজেলা গোপালগঞ্জ হওয়াতে বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রী সচিবদের নাম ভাঙ্গিয়ে তার দুর্নীতির ক্ষেত্র তেরী করে থাকেন।
(৪) গত নভেম্বর/২৩ সালে যশোর সদর উপজেলা হতে চৌগাছা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলী হোন। যশোর সদর উপজেলা পঃ পঃ অফিসের ইমপ্রেষ্ট ফান্ডের অর্থ এখনো তিনি প্রদান করে থাকেন। যশোর চৌগাছা ও সদর উপজেলা পঃ পঃ অফিসে তার দুর্নীতির পরিধি আরো বেড়ে গেছে।
– (৫) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল নিয়োগ বাণিজ্য করে বিপুল অর্থের মালিক হয়ে গেছেন।
(৬) তিনি বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির বিভাগীয় অঘোষিত সভাপতি হয়ে বিভিন্ন কাজের কথা বলে কর্মচারীদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করেন। ১৯৯৩ সালে চাকুরী তখন বেতন ছিল ১৫০০/- পর্যায়ক্রমে আজকে ৪০,০০০/- হাজার টাকা তাহলে সামান্য একজন অফিস সহকারীর চাকুরী করে ২০১০ সালে ১২ লক্ষ টাকার জমি ক্রয় করে ২০১৭ সালের মধ্যে সেখানে ০১ কোটি টাকা খরচ করে ৫তলা বাড়ী করে এটা আমাদের বোধ্যগম্য নয়। আমরা যশোর জেলার কর্মচারীরা তার অত্যাচারে অতিষ্ট কারন তিনি অঘোষিত কর্মচারীদের বিভাগীয় নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজী করেন। না দিলে বদলীর হুমকি দেন এবং বাধা দিলে তিনি মিছে মোবাইল করে বদলীও করান। কিছুদিন আগে উন্নয়ন খাতে নিয়োগ কর্মচারীদের কোর্ট মামলা করার কথা বলে কর্মচারীদের নিকট হতে ৫,০০০/- টাকা করে উত্তোলন করেন এবং সেটারও জানু/২৪ মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে তদন্ত হয় এবং প্রমানও হয় টাকা নিয়াছে তারপরও তার কিছু হয় না আসলে এর শক্তি কিসে আমরা জানতে চাই এবং তাকে বিভাগের বাহিরে শাস্তিমূলক বদলী করার জন্য অনুরোধ করছি।
উপরউল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।