ঢাকা | নভেম্বর ৬, ২০২৪ - ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিপিএল হাউজিং লিমিটেডের খরিদ ও নামজারিকৃত জমি দখলের ষড়যন্ত্র

  • আপডেট: Friday, February 9, 2024 - 9:43 am
  • পঠিত হয়েছে: 302 বার
টাচ নিউজ ডেস্ক : বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর সীমানা বেষ্টিত এবং খরিদ ও নামজারী কৃত জমির উপর সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালীর পৃষ্টপোষকতায় নৌবাহিনীর লোগো সম্বলিত নেভাল অফিসার্স হাউজিং স্কীম নামে ঝুলানো সাইনবোর্ড নিয়ে প্লট মালিক ডাক্তার ও পেশাজীবীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ঔষধ কোম্পানীর মধ্যে বায়োফার্মা লিমিটেড একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার মালিক ও শেয়ার হোল্ডার হচ্ছে প্রায় ৪৫০০ চিকিৎসক। এছাড়াও অবসর প্রাপ্ত সরকারী ও আধা সরকারী সামরিক ও
বেসামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার।
সৎ ও নিবেদিত ডাক্তারদের পরিশ্রমে তিলে তিলে গড়ে ওঠা রপ্তানীমুখী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ঔষধ রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রসংশনীয় ভ‚মিকা রাখার ফলে এ প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ে সর্ব মহলে সুখ্যাতি ও সুনাম অর্জন করে
বেশ সমাদৃত হয়ে উঠেছে।
বর্ধনমুখী এ প্রতিষ্ঠানের যে কয়টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড অন্যতম। বিপিএল হাউজিং লিমিটেড কোম্পানীটি ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ব্যবসা শুরু করে।
ডাক্তার ও পেশাজীবীদের আবাসনের চিন্তা মাথায় রেখে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল
ইউনিয়নের কুশাবো এলাকায় বায়োফার্মা লিমিটেড ও বিপিএল হাউজিং লিমিটেড ১২৪ বিঘা জমি ক্রয় করে। তার মধ্যে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড ৯৪ বিঘা জমি ক্রয় করে।
এ জমি প্রায় ৩০০ জন চিকিৎসক সহ বিভিন্ন পেশাজীবী গ্রাহকের মধ্যে প্লট হিসেবে বিক্রি করে, অবসর প্রাপ্ত সরকারী ও আধা সরকারী সামরিক ও বেসামরিক
কর্মকর্তা, আইনজীবি, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এর মধ্যে রয়েছেন।
এলাকার উন্নয়নের সাথে সাথে প্লট ক্রেতার মধ্যে অধিকাংশ ডাক্তার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অত্র এলাকায় বায়োফার্মা মেডিকেল কলেজ ও হাপাতালের এবং বাড়িঘর নির্মাণের প্রস্তুুতি নিচ্ছে।
কোম্পানী গ্যাস, বিদ্যুৎ, ও পানি সরবরাহসহ রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ চলছে। যার ফলে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর সীমানা বেষ্টিত এলাকাটি বাড়িঘর নির্মাণের উপযোগী ও দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে যা সরেজমিনে দেখা যায়।
ইতোমধ্যে অত্র এলাকায় পূর্বাচলভ্যালি নামে একটি হাউজিং কোম্পানী নেভাল অফিসারদের জন্য ১০০০ টি প্লট বিক্রির চুক্তি করার চেষ্টা করছেন বলে সুত্র জানায়।
এ জমি ব্যবসায়ী স্বত্বাধিকারী বিক্রেতা সেজে সুকৌশলে অধিক মুনাফায় নেভাল অফিসারদের প্ররোচিত করে এবং ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নেভাল হাউজিং স্কীম নামে নৌবাহিনীর লোগো সম্বলিত সাইনবোর্ড বিপিএল হাউজিং এর রেজিষ্ট্রিকৃত ও নামজারীকৃত জায়গার উপর ২২ টির অধিক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে।
পূর্বাচল ভ্যালীর স্বত্বাধিকারী প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে অধিক লাভের আশায় দেশের একটি সুশৃক্সখল বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্টের গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে প্লট মালিক ডাক্তার ও পেশাজীবিরা প্রতিবেদককে জানায়।
এতে প্লট মালিকদের মনে ক্ষোভ, হতাশা ও চরম অসন্তোষ জন্ম দিয়েছে। ১৩/১৪ বছর আগে কেনা প্লটের উপর
নৌবাহিনীর সাইনবোর্ড দেখে প্লট মালিকদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি এবং দেশপ্রেমিক এ বিশেষ বাহিনীর উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্ম দিচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায় নেভাল অফিসারদের জন্য প্লট কেনার পরিকল্পনা মেইন রোড থেকে ১.৫ কিলোমিটার ভেতরে অথচ সাইন বোর্ড ঝুলানো হয়েছে বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর জায়গায় এবং মেইন রোড সংলগ্ন বিভিন্ন স্পটে।
আরএস ৫৯ নং দাগের ৪৪ শতাংশ বিপিএল হাউজিং লিমিটেড কেনা জমির উপরও নেভাল অফিসারদের লোগো সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে তা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রতিবেদকের নজরে আসে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে এ্ বাহিনীর গৌরবোজ্জল ভ‚মিকা ও গৌরবগাঁথা ইতিহাস সর্বজন বিদিত। অথচ মুনাফালোভী জমি ব্যবসায়ী নৌবাহিনীকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
স্থানীয় কাউন্সিল্র ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এর সাথে আলাপ করে জানা যায় উক্ত এলাকার জায়গাগুলো বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর কেনা। প্লট মালিকদের অধিকাংশ ডাক্তার এবং বিভিন্ন পেশাজীবীরা মাঝে মাঝে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্র এলাকা ঘুরে যায়।
বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর সাথে নৌবাহিনীর অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার জন্য সিটিমেড পূর্বাচল ভ্যালীর জমি ব্যবসায়ী জনৈক কাউসার দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়।
অবৈধভাবে লাগানো নৌবাহিনীর সাইনবোর্ড গুলো বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এর জায়গা থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য বিপিএল হাউজিং লিমিটেড এবং বায়োগ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইতোমধ্যে নৌবাহিনী প্রধানের বরাবরে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা যায়।
বিষয়টি জটিলতার দিকে গড়ানোর আগে উভয় পক্ষ বসে মীমাংসায় আসা উচিত বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত। এবং রূপগঞ্জ থানা ও বুলতা পুলিশ পাড়িতে মৌখিক ভাবে অবহিত করা হয়েছে। এতে ইন্ধনদাতা ও সুবিধাভোগীদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে বলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।