কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ দর্শন বিভাগের রজত জয়ন্তী উদযাপিত
টাচ নিউজ ডেস্ক : ‘স্মৃতির টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে’ শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ দর্শন বিভাগের ২৫ বছর পূর্তি বা রজতজয়ন্তী ও প্রথম পুনর্মিলনী এক আনন্দমুখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। আনন্দ র্যারলি, কেক কাটা, স্মরণিকা ‘প্রজ্ঞানুরাগ’ প্রকাশ, স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, র্যা ফেল ড্র, শিক্ষক সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশেষভাবে স্থান পায় এই মিলনমেলায়।বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয় পুরো ক্যাম্পাসটিকে।
রজতজয়ন্তী উপলক্ষে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন দর্শন পরিবারের উদ্যোগে কলেজ অডিটোরিয়ামে গতকাল সকালে শুরু হয়ে রাত ৯টায় শেষ হয় এই পুনর্মিলনী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজটির প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. আবু জাফর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ইন্দুভূষণ ভৌমিক, বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. লিয়াকত আলী, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. সাইফ উল্লাহ, সাবেক শিক্ষক প্রফেসর মো. সোহরাব হোসেন, সাবেক শিক্ষক সহযোগি অধ্যাপক মো. নুরুর রহমান খান, সাবেক শিক্ষক সহযোগি অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বিভাগের শিক্ষক সহযোগি অধ্যাপক আরিফা খাতুন ও সহকারি অধ্যাপক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আনন্দ র্যা লির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের আহবায়ক তপন খানের সভাপতিত্বে ও দর্শন পরিবারের প্রথম সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল অদুদের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। অনুষ্ঠান ও স্মরণিকা প্রকাশ কমিটির সদস্য সচিব তাইমুর হোসেন সজিবের সঞ্চালনায় কেক কেটে এবং স্মরণিকা ‘প্রজ্ঞানুরাগ’ সম্পাদক সৈয়দ আহাম্মদ টুটুলের সঞ্চালনায় স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচনের পর শুরু হয় আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আবু জাফর খান তার বক্তব্যে জ্ঞান-প্রজ্ঞার মাধ্যমে নৈতিক সংকট উত্তরণে দর্শন পাঠের প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথি ও অন্যান্য শিক্ষকগণও নৈতিক অবক্ষয়ের আজকের বাস্তবতায় দর্শনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
দুপুরে খাবার ও জুম্মার নামাজের বিরতির পর শিশুদের জন্য একটি আনন্দদায়ক পর্ব থাকে। তারপর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এনসিসি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসুর রহমান মামুন ও সাজ্জাদুল কবিরের স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে ২৫ বছরের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একে একে মঞ্চে এসে ক্যাম্পাস জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। সাবেক শিক্ষার্থী ও শিল্পী নাসিমা আক্তার রত্নার নেতৃত্বে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যা ফেল ড্র-র মধ্য দিয়ে শেষ হয় রজত জয়ন্তী।