পিরোজপুর-২আসনে স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অপচেষ্টা
টাচ নিউজ ডেস্ক: পিরোজপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও নেসারাবাদ নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-২ আসনটি জাতীয় নির্বাচনে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মহাজোট গঠনের পর থেকে এ আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে আসছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে সরকারদলীয় জোটের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন জনপ্রিয় নেতা পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ। কিন্তু তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে কাজ করছে একটি চক্র। স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য একটি চক্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ এই শঙ্কার কথা ইতোমধ্যেই লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কার্যালয়, বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৩ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন এবং তার প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়েছে। কিন্তু পিরোজপুর-২ আসনের প্রতিপক্ষ গ্রুপ তার স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন (১৭ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন দাখিল করতে পারে বলে চিঠিতে শঙ্কা প্রকাশ করেন মহিউদ্দিন মহারাজ। তাই এই চক্রান্ত থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেন। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় জেপিকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তাই পিরোজপুর-২ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সাথে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের। এ জন্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর লোকেরা তার বিজয় নিশ্চিত করতে মহিউদ্দিন মহারাজকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় একটি চক্র দিয়ে স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অপচেষ্টা করতে পারে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন মহিউদ্দিন মহারাজ।