ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

চাটখিলের আলোচিত ফিহা হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

  • আপডেট: Tuesday, November 28, 2023 - 6:26 pm
  • পঠিত হয়েছে: 216 বার

আনিছ আহম্মদ হানিফ,চাটখিল উপজেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর চাটখিলে আলোচিত শিশু ফিহা আক্তার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ফিহা আক্তার (৭) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষোড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলের দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে একই দিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ জষোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মিজানুর রহমান সেন্টু (৩০) ও তার পিতা আব্দুস সাত্তার (৭০)।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, গত ১৫ দিন আগেে গ্রেপ্তারকৃত সেন্টুর মেয়ে তানহার (৭) সাথে খেলাধুলা করার সময় মারামারি হয় নিহত ফিহার সাথে এ ঝগড়ার জের ধরে সেন্টু ফিহাকে তার বাড়িতে মারতে যায়। তখন ফিহার মা মেয়েকে শাসন করার কথা বলে সেন্টুকে নিবৃত করে। এরপর গত রোববার বিকেলের দিকে বাড়ির পাশে মাঠে ফিহা বাবাকে খোঁজ করতে যায় ঐ সময় মাঠের পাশে বসা ছিল ঘাতক সেন্টু। পরবর্তীতে তার বাবাকে দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফিহাকে ডেকে নেয় সেন্টু। একপর্যায়ে সে ফিহাকে নির্মম ভাবে হত্যাকে করে মরদেহ তার বাড়ি থেকে দূরে ফেলে দিয়ে আসে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জষোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ফিহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওসি এমদাদুল হক আরো বলেন, ভিকটিমের মাথার এক পাশে ফোলা জখমের চিহ্ন ছিল। চোখের ডান পাশে এবং কান ও চোখের মাঝামাঝি জায়গায় গভীর কাটা জখম ছিল। এ ঘটনায় ফিহার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটক মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২ আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।