কেরানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪-এর পিইউসি দীপক কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা পবিস-৪ এর আটিবাজার সাব-জোনাল অফিসে কন্টাকে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে স্থানীয় মাসুদ মোল্লা। তার রোসানলে কলাতিয়া জোনাল অফিসের পিইউসি দীপক কুমার কর্মকার।
তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অভিযোগ করেছেন পিইউসি দীপক কুমার। তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, আটিবাজার অফিসের স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান মাসুদ। তিনি পিডিবি র কোন স্টাফ না হলেও পিডিবির লোগো মোটরসাইকেলে ইউজ করে। যা তিনি পারেন না। মাসুদ বিভিন্ন শিল্প কারখানা এবং বহুতল ভবনের সংযোগ দেয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করে এবং অফিসে জমা দেয়ার জন্য আনে। এই কাজটি তার না। আরইবির আইন অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করবে। অভিযোগ রয়েছে মাসুদ গ্রাহক কে ভুলভাল বুঝিয়ে আবেদন জমা দেয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়। এসব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা না করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে নেমেছে।
তিনি আরো বলেন,বিআরইবির সর্বশেষ সার্কুলার অনুযায়ী সকল সংযোগের বিপরীতে ১০ কিলোওয়াট এর বেশি চাহিদা থাকলে অবশ্যই সোলার প্যানেল স্থাপন করতে হবে। কিন্তু, মাসুদ মোল্লা সোলার ছাড়া এবং নিয়মের বাইরে কাজ করার জন্য বিভিন্নভাবে অফিসে চাপ প্রয়োগ করে । তার কথা না শুনলে সে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় ও তার পরিচিত এক স্থানীয় এক সাংবাদিক দিয়ে বদলি অথবা চাকরি থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেয়।
পিইউসি দীপক কুমার আরও জানান, স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আসছি।
দীপক জানায়,
ইলেকট্রিশিয়ান মাসুদ নিজস্ব এক সাংবাদিক দিয়ে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ করানোর হীন উদ্দেশ্যে মানব বন্ধন করেছে।
উক্ত মানববন্ধনে কলাতিয়ার ইলেকট্রিশিয়ানদের দু’জন ছাড়া অন্যদের আটিবাজার থেকে ভাড়া করে আনা।
তিনি বলেন, আমার জানামতে, ইলেকট্রিশিয়ান মাসুদ মোল্লা জামাত শিবিরের সক্রিয় সদস্য। আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বলেই আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। কেউ তাদের কথা না শুনলে সেই ব্যক্তির নামে মিথ্যা নিউজ করে সরিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো নিত্য নৈমিত্তিক কাজ ।
পিইউসি দীপক কুমার জানান, ইতোপূর্বে এই চক্র অত্র পবিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, ওয়্যারিং পরিদর্শক সাহাবুদ্দিন শিকদার, লাইনম্যান রাকিব, কম্পিউটার অপারেটর অর্পনা সরকার এর বিরুদ্ধেও মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে মানহানির চেষ্টা করেছে। তারা প্রথমে ব্যক্তি চিহ্নিত করে নিউজ করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইতো পূর্বে অর্পনা সরকারের বিরুদ্ধে ভুয়া নিউজ করেছিল, পরে বিভিন্ন লোক মারফত মাপ চেয়েছে।
অপপ্রচারের শিকার দীপক জানায়, আমার বাড়ী পটুয়াখালী আর জিএম মহোদয়ের বাড়ি খুলনা জেলায়। আমাদের জিএম এবং ডিজিএম স্যার অত্যন্ত সজ্জন ও সৎ মানুষ। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে স্যারদের বদনাম করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে জিএম মহোদয় বরাবর গত ০৬-১১-২৩ খ্রি: তারিখে মাসুদ গং একটা আবেদন করেছে সেখানেও আমাদের কন্ঠ নামক পত্রিকার সাংবাদিক শাহীন চৌধুরীর কার্ড সংযুক্ত করে জমা দিয়েছে। এটা কোন ধরনের সাংবাদিকতা। আপনার মাধ্যমে ওই পত্রিকার সম্পাদককে অনুরোধ করবো এই সাংবাদিকের ব্যাপারে একটু খোঁজখবর নেয়ার জন্য। গণমাধ্যম কর্মীরা জাতির বিবেক। তাদেরকে অনুরোধ করব খোঁজখবর নিয়ে সত্য লিখতে। নিজে সুবিধা আদায় করতে না পেরে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে প্রকারান্তরে ঢাকা পবিস-৪ এর সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।
অনলাইন সংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সংযোগের আবেদন হয় অনলাইনে, আবেদন অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথে গ্রাহকের মোবাইলে এসএমএস চলে যায় এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টাকা ব্যাংক বা রকেটের মাধ্যমে জমা হয়। তাই গ্রাহক অফিসে এসে আমার সাথে কথা বলেন , এটা ওদের বানোয়াট বক্তব্য ৷ সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্প ওয়্যারিং করার জন্য যে ইলেকট্রিশিয়ানকে দায়িত্ব দেয়া হয় তারা কাজ করে মজুরী বিল দাখিল করেন। কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আমি শুধু বিল প্রত্যয়ন করেছি মাত্র। বিল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অত্র পবিসের সদর দপ্তরের হিসাব শাখা হতে একাউন্ট পেয়ি অফিসিয়াল চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। অথচ এখানেও ডাহামিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।