ঢাকা | অক্টোবর ১১, ২০২৪ - ১:২৬ পূর্বাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপর শিক্ষকের গবেষণা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ

  • আপডেট: Wednesday, August 30, 2023 - 11:23 am
  • পঠিত হয়েছে: 430 বার

টাচসনিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে চৌয©বৃত্তি নিয়ে প্রায়শই আমরা আলোচনা শুনে থাকি। তা হোক মাধ্যমিক কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে এমফিল ও পি এইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌয©বৃত্তির অভিযোগ তুলেছেন একই বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান জনাব আবু মুসা মো. আরিফ বিল্লাহ। তিনি এ বিষয়ে উপাচায©, প্রো-উপাচায© (শিক্ষা)ও কলা অনুষদের ডীন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি বিভাগের অপর আর এক অধ্যাপক জনাব ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এর বিরুদ্ধেও চৌয©বৃত্তির অভিযোগ এনে ইতোঃপূর্বে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। সেখানে তিনি অন্যের প্রবন্ধের 95% নিজের নামে চালিয়ে দেয়া এবং অন্যের বই নিজের নামে প্রকাশের অভিযোগ করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোন তদন্ত বা বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লিখিত অভিযোগপত্রে ড. বিল্লাহ এমফিল ও পিএইচডির সাদৃশ্যপূন© শিরোনাম, রেফারেন্সে অসঙ্গতি, এমফিল ডিগ্রির হুবহু লাইন পিএইচডি ডিগ্রিতে ব্যবহার করে রেফারেন্স না দেওয়া প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করে 33 পৃষ্ঠার পয©বেক্ষণ সম্বলিত কপি লিখিত অভিযোগ এর সাথে দাখিল করেন। এ পয©বেক্ষণে এমফিল ডিগ্রিতে 25 স্থানে এবং পিএইচডি থিসিসে 10 স্থানে রেফারেন্সবিহিন উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমফিল থিসিসের লেখা পিএইচডি থিসিসের 20 স্থানে হুবহু ব্যবহার করেছেন কোনরূপ রেফারেন্স বা পূর্বোক্তি ছাড়াই। ড. বিল্লাহ পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখসহ সবগুলো উদ্ধৃতি তুলে ধরে এর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কায©কর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন এবং একই গাইড অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এর অধিনে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করায় তিনিও এর দায় এড়াতে পারেন না বলে তিনি উল্লেথ করেন।
উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে জনাব বাহাউদ্দিন এর নানা বিতর্কিত কম©কান্ড যেমন- প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিভাগের একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে ভালো ফলাফল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পক© স্থাপন, এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিভটুগেদার করে গভ©বতী করে পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানো, নিজের স্ত্রীর বড় বোনের সাথে অসামাজিক সম্পক©, নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা গ্রহণ, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর উচ্ছাকৃত ফলাফল পাল্টে দেয়া (সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন বছরের জন্য পরিক্ষা কায©ক্রম থকে বহিষ্কারের শাস্তি পেয়েছেন), নিজের কোন সন্তান না পড়লেও নীলক্ষেত হাইস্কুলে অভিভাবক সদস্য হওয়া এবং শিক্ষকদের থেকে অবৈধ আত্মসাত (যে বিষয়ে ঢাকা জজ কোর্টে মামলা চলামান) প্রভৃতির অভিযোগ রয়েছে।