ঢাকা | নভেম্বর ১৫, ২০২৪ - ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

তারেক রহমানের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ, দুই বিচারপতি ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা জানালেন প্রধান বিচারপতিকে

  • আপডেট: Tuesday, August 29, 2023 - 5:17 am
  • পঠিত হয়েছে: 421 বার

টাচ নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে এজলাস কক্ষে হট্টগোল ও ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কার্যালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটিকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের সময় বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, একপক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে আপনি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন। এটা বিচার বিভাগের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা আপনার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানিয়েছি। আপনার থেকে আমরা ন্যায়বিচার পাবো না। এ কারণে আপনার কোর্টে তারেক রহমানের কোনো মামলা চলতে পারে না।

এ সময় বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে শুনেছি’।

ব্যারিস্টার কাজল বিচারপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আপনি আমাকে শুনানি করতে দেননি। আপনি ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিলেন। এটা করতে পারেন না।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমাদের বক্তব্য আপনার শুনতে হবে। আমাদের বক্তব্য না নিয়ে কোনো অর্ডার পাস করতে পারেন না।

পরে এ আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হট্টগোল করলে এক পর্যায়ে দুই বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। তখন তাদের উদ্দেশ করে আইনজীবীদের মধ্য থেকে ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে।

তবে হট্টগোলের মধ্যে এজলাস ছেড়ে যাওয়ার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম এজলাসে আসন গ্রহণ করে বিচারকাজ শুরু করেন।

এদিকে আদেশের পরে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা অযাচিতভাবে কোর্টের কার্যকলাপকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা কোনোভাবে পার্টি নন (মামলায় পক্ষভুক্ত না)। তারা আজ ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন। সেদিন তারা পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য একটি দরখাস্ত দিয়েছিলো। সেটা খারিজ করা হয়েছে।