ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ৮:৩২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

রাজধানীর কদমতলীতে অবৈধ পিতল গলানোর কারখানা

  • আপডেট: Wednesday, August 2, 2023 - 1:03 pm
  • পঠিত হয়েছে: 260 বার

টাচ নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোডের মসজিদের সাথে আবাসিক এলাকায় অবৈধ পিতল গলানোর কারখানার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানাযায়, বাড়ীর মালিক থেকে মোটা অংকের টাকা জামানত দিয়ে ভাড়া নিয়েছেন এই পিতল গলানোর কারখানা। কারখানার নাম হলো মোহাম্মদ মেটাল মালিকের নাম বাবু । এলাকায় সবাই তাকে গ্যাস বাবু বলে চিনে । তিতাসের কিছু সংখ্যক লোকজনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ্য কারখানা বছরের পর বছর। এতে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সম্প্রতি সরজমিনে মুরাদপুর হামিদা সিএনজি পাম্পের পাশের গলি ধরে সামনে এগিয়ে কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করতে করতে সরকার রোডের মসজিদের সামনে গিয়ে পাওয়া যায় সাইন বোর্ড বিহিন পিতল গলানোর কারখানা । প্রতিবেদক এ সময় ম্যানেজারকে পিতল গলানোর কোন বৈধ্য কাগজপত্র আছে কিনা জিজ্ঞেস করতেই তিনি প্রতিবেদকে চা খাওয়ার জন্য বলেন। মালিকের আসার জন্য ফোন দেন কারখানার মালিক ১ ঘন্টা লাগবে বলেন তিনি কদমতলি থানায় মিটিং এ ব্যস্ত আছেন। প্রতিবেদক বললেন তাহলে আমি চলে যাই আপনি যখন কোন কাগজ পত্র আমাকে দেখাবেন না তাহলে কি আর করার আছে । কিনতু হঠাৎ ৫/৭ মিনিট পরে হাজির মালিক বাবু সাথে ৩/৪ জন লোক বিশাল বড়সড় দেহের। এতে বুঝা যায় তিনি সব সময় সাথে লোকজন নিয়ে চলাফেরা করেন।

মালিক সাথে প্রতিবেদকের কথা হয় পিতল কারখানা নিয়ে তিনি নিজেও স্বীকার করেন যে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন আপনাকে কেন দেখাব আপনি নিউজ করেন তারপর কেউ আসলে দেখাব। কয়েকদিন আগেও কয়েকজন সাংবাদিক এসে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে পরে আবার মোবাইলটাও চুরি করে নিয়ে গেছে আমি থানায় জিডি করেছি । জিডির কপি চাইলে দিতে পারেননি। কারখানার মালিক বাবু বলেন আমি আপনাকে চা নাস্তার খরচ দিতে পারি কিন্তু বেশি দিতে পারব না। এ বলে তিনি প্রতিবেদকের পকেটে টাকা দেওয়ার চেষ্ঠা করেন। কিন্তু প্রতিবেদক তার হাত সরিয়ে দিয়ে দেন। প্রতিবেদককে যখন টাকা দিয়ে তিনি বশ করতে পারেননি তারপর একপ্রকার থ্রেড দিয়ে দিলেন। ভাই আমরা এলাকার অনেক বড় নেতা আমাদের উঠাবসা অনেক বড় জায়গায়।

পরবর্তীতে বাবু বলেন আমাকে ওসি সাহেব বলেছে কোন সাংবাদিক আসলে আটকাইয়া রাখতে। পরবর্তীতে কথা রেকর্ড করার জন্য ফোন দিয়ে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন,সাংবাদিকদের আটকানোর বিষয়টি তার বন্ধুরা বলেছে। যার অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

 

আবাসিক এলাকায় কারখানার অবাধ অবস্থানে অসহায় এই এলাকায় বসবাসকারীরা। ফলে বাধ্য হয়েই নগরবাসীর অনেককেই কারখানা ভবনে কিংবা এর আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করতে হচ্ছে। এতে শব্দ দূষণসহ নানা ধরনের দূষণের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

মুরাদপুর আবাসিক এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দার সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান এই পিতল গলানোর কারখানা মালিকের নাম বাবু খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক এলাকার তিতাস গ্যাস, পুলিশ, সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আইন অমান্য করে এই পিতল গলানোর কারখানা ভাড়া দিয়ে আসছেন বাড়ীর মালিক। অবৈধ্য কারখানা ভাড়া দিলে বেশি টাকা পাওয়া যায় তাই টাকার লোভে তিনি ভাড়া দিয়েছেন।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, সরকার আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা সরিয়ে নেয়ার নিদের্শ দিলেও অভিযুক্ত বাড়ীর মালিক তার জায়গা থেকে কারখানা না সরিয়ে বরং সাইবোর্ডবিহীন অবৈধ্য পিতল গলানোর মত  কারখানা ভাড়া দিয়েছেন। এসব কারখানায় সকাল থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ চলে। 

অবৈধ্য গ্যাসের সংযোগ নিয়ে কারখানা চালানোর কোন নিয়ম নেই তারপরও বাড়ীর মালিকের সহযোগীতায় মোহাম্মদ মেটালের মালিক গ্যাস বাবু পিতল গলানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

লোক মুখে শোনা যায় অবৈধ্য পিতল গলানোর ব্যবসা করে নাকি অনেক ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে প্রতিবেদকের কাছে বলেন পিতল গলানোর কারখানা স্থাপনের জন্য যদি কলকারখানা অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদফতর কিংবা রাজউক ছাড়পত্র দিয়ে থাকে তবে এলাকাসী হিসেবে আমাদের কিছু করার নাই।

এসব কারখানা যদি কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই তাদের অবৈধ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসে তাহলে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই আবাসিক এলাকায় এসব অবৈধ্য কারখানাগুলো বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশে দোকানীরা জানান, তারা একেবারেই অবৈধভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে কয়েকজন সাংবাদিক এসে এই কারখানায় অভিযান চালিয়েছিলো কিন্তু পরে মনে হয় তারাও টাকার কাছে হার মানে।  

গোপন সূত্রে জানা যায় পিতল গলানোর কারখানার মালিক বাবু কারখানাটি সরানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এবং রাতের বেলায় কারখানার মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন ।

কলকারখানা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কমকতারা বলেন আমরা এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি পেলে ব্যবস্তা নিবো।

মোহামমদ মেটালের মালিক বাবুর সকল প্রকার দূর্নীতির সংবাদ নিয়ে আমাদের আগামী পর্বে থাকছে বিস্তারিত।