নিয়োগ পেতে শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক
টাচ নিউজ ডেস্ক:শিক্ষকের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ভালো ফলাফল করার প্রথা সুবিদিত। কিন্তু সেটা যখন অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায় তখন তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। সম্প্রতি এমন একটি বিষয় বেশ চাউর হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী মেহজাবিন ইসলামের বিরুদ্ধে। মেহজাবিন ইসলাম বিভাগের ছাত্রী থাকাকালে জনাব বাহাউদ্দিনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। উত্তর নীলক্ষেতের কর্মচারী কোয়ার্টারে এফ রহমান হলের সাবেক এক কর্মচারীর বাসায় তারা স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতেন। এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রী গর্ভবর্তী হন বলে জানা যায়, যা পরবর্তীতে গর্ভপাত করানো হয়। পরবর্তীতে ড. বাহাউদ্দিন উক্ত ছাত্রীকে নিজের তত্ত্বাবধানে এম.ফিল ডিগ্রি সম্পন্ন করান। সুযোগ আসলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। ড. বাহাউদ্দিন ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ঐ ছাত্রী বিভাগের অপর এক শিক্ষকের কাছে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের দীর্ঘদিনের একত্রে বসবাস সম্পর্কে দীর্ঘ বর্ণনা দেন। উক্ত অডিওতে ড. বাহাউদ্দিন কর্তৃক গর্ভধারনের ইঙ্গিত, ভালো রেজাল্ট করানো, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আশ্বাসসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। বিভাগের ‘স’ ও ‘ন’ আদ্যক্ষরের দুজন ছাত্রীসহ আরো কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জন রয়েছে ড. বাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে।