ঢাকা | ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ - ১০:৪১ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চাটখিলে সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: Saturday, May 6, 2023 - 11:52 am
  • পঠিত হয়েছে: 132 বার

আনিছ আহম্মদ হানিফ,চাটখিল উপজেলা প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুরের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন আহত স্কুল শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার (৫মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্কুল শিক্ষক ওমর ফারুক ও মাহাবুব আলম মোল্লা।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন তার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর জনতা বাজারের পাশে তিন কড়ি মেস্ত্রী বাড়িতে সাবেক ১৯৫৬ /বর্তমান ৫৬২৫/ দাগে ২১ শতাংশ জায়গা খরিদ করেন যাহা( বায়ার নামে) যার কাছ থেকে খরিদ করছে সেই মালিকের নামে ডিএস, এমএর ও বিএস খতিয়ান হয়। যাহা আমরা আমাদের নামে জমা খারিজ করে সরকারি কোষাগারে খাজনা পরিষদ করে আসছি।
গত ২০২১ সালে আমার প্রতিপক্ষ আমার জায়গা বেদখল করিতে গেলে চাটখিল থানায় অভিযোগ করি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অভিহিত করি। কোন প্রতিকার না পেয়ে আমার আদালতের শরণাপন্ন হয়ে অভিযোগ দায়ের করি। আদালত উক্ত ভূমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে উক্ত ভূমিতে সন্ত্রাসী এনে ইট, বালি, রট, সিমেন্ট দিয়ে ভবন নির্মাণের চেষ্টা করলে আমি প্রশাসনের কাছে বারবার গিয়ে অভিযোগ করি। যখন প্রশাসন এসে তাদের অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করলে ও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত দুই মাস পূর্বে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কৃত ভূমিতে পাকা দালান নির্মাণ করে। এর পাশে আমাদের খরিদকৃত আরো ২ শতাংশ ভূমি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করে এবং ইট বালি কনা রেখে বাঁশের বেড়া দিয়ে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করলে, আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদককে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে জানাই। তারা আমি সহ উভয় পক্ষকে আজ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় পরিমাপ করে খুটি দিয়ে দেয়। তাদের রাখা ইট বালু ও বাঁশের বেড়া সরিয়ে আমার খরিদ কৃত ২শতাংশ ভুমি বুঝাইয়া দিলে মামলায় উল্লেখিত সকল বিবাদীগন একত্রিত হইয়া আমি এবং আমার ভাইদের উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র লাঠি সোটা দিয়ে এলো পাতাড়ি হামলা করে। আমি সহ আমার ভাইদের আত্ম চিৎকারে শুনে পাশের রাস্তা দিয়ে ডাইভিং শিখানো মালিক মাহবুব মোল্লা গাড়ি থামিয়ে নেমে এসে আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে নেওয়ার সময় শান্ত সূত্রধর সহ তার সহযোগীরা তার উপর হামলা করে। মোল্লার মাথা ফাটিয়ে দেয় আমাকে এবং উদ্ধারকারী মাহবুব মোল্লাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে, এলাকার লোকজন সিএনজি যোগে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসা করান‌। এই ঘটনার খবর শুনে মাহবুব মোল্লার ভাই বাজারের দোকান থেকে ঘটনা স্থলে আসা মাত্রই জবর দখল কারি অনিল গংরা তার উপর হামলা করে তার ডান হাত সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি করে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে চাটখিল থানায় অভিযোগ দাখিল করি। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা যে কোন সময় আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনের প্রাণ নাশ করতে পারে। তারা সংখ্যালঘু দাবি করে এই সিম্পেথি বলে অন্যায় ভাবে মুসলমানদের উপর জুলুম করে আসছে এই দাগে পুরো বাড়ি তিন একর সম্পত্তির মধ্যে তারা এক অংশের মালিক বাকি পুরো সম্পত্তির মালিক মুসলমান সম্প্রদায় তাদের অত্যাচার এবং জুলুমের কারণে এই দাগে দুটি পুকুরের মাছ জোর করে দখল করে ধরে নিয়ে যায়। মুসলমানদেরকে কোন ভাগ দেয় না তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুসলমান বাকি অংশীদাররা থানা এবং আদালতে কয়েকটি মামলা করে। আমি উক্ত ঘটনার তদন্ত পূর্বক আমার আর মাহবুব মোল্লার উপর হামলার ন্যায়বিচার দাবী করছি।
উক্ত হামলার ঘটনায় থানায় মাস্টার ওমর ফারুক মাহাবুব মোল্লা বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম, মোঃ রবিন, মোঃ মানিক, আব্দুল মান্নান, মোঃ সোহেল প্রমূখ।