ঢাকা | নভেম্বর ২১, ২০২৪ - ২:৪৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

সকালে নয়াপল্টনে যুবদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

  • আপডেট: Tuesday, March 21, 2023 - 9:03 am
  • পঠিত হয়েছে: 140 বার

টাচ নিউজ ডেস্ক:যুবদলের নবগঠিত কমিটিতে সীমাহীন দুর্নীতি, পদ বাণিজ্য, নিষ্ক্রিয় অযোগ্যদের পদায়ন এবং ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন ও পদ বঞ্চিত করার প্রতিবাদে আজকেও বিক্ষোভ কআজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় নয়াপল্টনে যুবদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতা কর্মীরা। বিক্ষোভে কমিটি বাতিলের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়া হয়। কমিটিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও অসংগতি তুলে ধরে নিষ্ক্রিয় ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদপ্রাপ্তদের পদ বাতিল করে ত্যাগী ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কর্মীদের মূল কমিটির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য যে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায় তারা সেই ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত দলের ঘোষিত সকল কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পালন করে আসছেন। যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না দলের এমন দুঃসময়ে দলের সক্রিয় নেতা কর্মীদেরকে বাদ দিয়ে যারা টাকা দিয়েছে এবং অন্যান্য অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে, বাসার বাজার করে দিয়েছে, কিংবা তাদের দোকানের কর্মচারী তাদেরকে পদ দিয়েছে। দলের দুঃসময়ে যেখানে ত্যাগী, সাহসী ও যোগ্য কর্মীদের পদায়ন করা প্রয়োজন সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবেই দলটিকে দুর্বল করে দিয়েছে বলে সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকের দিকে অভিযোগ করছে নেতা কর্মীরা।

তাদের অভিযোগ যুবদলের সহ সভাপতি প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ভাতিজা মাহবুবুল হাসান পিংকু ফরিদপুরে “মুজিব শতবর্ষে” সকল অনুষ্ঠানে স্পন্সর করে প্রধান অতিথি হিসেব অংশগ্রহন করার রেকর্ড রয়েছে।

সহ-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিশু বিগত আট বছর ধরে আমেরিকা প্রবাসী। তাকে অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে।

তারা দাবী করেন ঘোষিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান কোনদিন কোন পর্যায়ে রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও শুধুমাত্র আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পদ প্রবাস থেকে এসেই পদ বাগিয়ে নিয়েছে।

সামসুজ্জোহা সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ক্যাফে ক্যাম্পাস নামে রেস্টুরেন্টের মালিক। ব্যাবসার কাজে ১০ বছর যাবত দলীয় কর্মকাণ্ড করেন না। টুকু মুন্নার কমিটির পর সক্রিয় হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যম্পাসে যেতে পারেনা সেখানে সুমন ছাত্রলীগের সহযোগিতায় ব্যবসা করে আসছেন ১০ বছর ধরে। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলি আশরাফ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, আতিকুর রহমান আতিক, সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন সবুজ, সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম তিতাস, এডঃ মাহাতাব আলম।
যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ হাসান উজ্জ্বল, ওমর তাহের বাবু।
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহজাহান কবির শাহিন, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স, আহসান উল্লাহ তুষার, রাসেল মিয়া, হাফিজুর রহমান শরিফ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি তারেক উজ জামান, শোয়াইব খন্দকার, আশরাফুর রহমান বাবু, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ, এবিএম মহসিন বিশ্বাস, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক মেজবাহুল আলম, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কোয়েল হোসেন, রকিবুল হাসান হাওলাদার, খোরশেদ আলম, শহিদুল ইসলাম সরকার মাসুদ, শফিউল আজম। ছাত্রদলের সাবেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক ইয়াকুব রাজু।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ।
সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম মাসুম, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান কাজল, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর রিপন, সহ আইন সম্পাদক এডঃ মশিউর রহমান রিয়াদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য নাজমুল হাই রায়হান, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এডঃ ফজলুল হক, যুবদলের এডঃ সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এবাদুল হক পারভেজ, কাকন খন্দকার, যুবদলের রাসেল দেওয়ান, আলামিন সিকদার, মুক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম সুমন, এইচ এম বাদশা, সিরাজুল ইসলাম সহ নেতাকর্মীরা।