ডিপিএইচই’র পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প সুবিধা পাবে ৩০ পৌরসভার প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা
নিজাম উদ্দিন দরবেশ:দেশের ৩০টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ সুপেয় পানির সংযোগ দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পাশাপাশি এসব পৌরসভায় দেড় লাখ পরিবেশবান্ধব পয়ঃবর্জ্য সংযোগ দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন ওই সব পৌরসভায় বসবাসকারী প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার আয়োজিত পৌর মেয়রদের ওয়ার্কশপে সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানান।সভায় প্রধান অতিথি পৌরসভার জন্য প্রণোদনা ঘোষনা করেন।
ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালা অংশ নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. জসিম উদ্দিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মীর আব্দুস সাহিদ প্রমুখ।
ওয়ার্কশপে ডিপিএইচই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পের আওতায় সুপেয় পানি সরবরাহ, নর্দমা স্থাপন ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে পয়ঃবর্জ্য শোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সে পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে তারাব, উল্লাপাড়া, চন্দ্রনাইশ, মধুপুর, আখাউড়া, বাঁশখালী, বাঘা, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, তাহেরপুর, গোয়ালান্দ, বনপাড়া, দেবিদ্বার, ইসলামপুর, ধনবাড়ি, রাঙামাটি, পরশুরাম, হোমনা, ভুয়াপুর, চৌগাছা, গাংনী, বড়ইগ্রাম, বড়লেখা, সেনবাগ, রাইগঞ্জ, নাচোল, কাটাখালী, শিবগঞ্জ, কমলগঞ্জ ও কাহালু।
সূত্রমতে, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের যৌথ আর্থিক সহায়তায়পুষ্ট ‘’বাংলাদেশে ৩০টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন” শীর্ষক প্রকল্পটি জনসাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। উক্ত প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকল্পভূক্ত ৩০টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমানে পৌরসভাপর্যায়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষের দিকে। উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পৌরসভার জনগন নিরাপথ পানি ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
এতে করে প্রকল্প চলাকালীন সময়ে ৬ থেকে ৮ লাখ লোক উপকৃত হবে। তাছাড়া প্রকল্পের অধীনে স্থাপিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা হতে পৌরসভার দরিদ্র জনগন সাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারের সুযোগ পাবে এতে করে পৌরসভার
দেড় লাখ মানুষ উপকৃত হবে।