চাটখিলে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইয়ের উপর হামলা দোকান ভাংচুর
আনিছ আহম্মদ হানিফ,নোয়াখালী চাটখিল প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিলে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছে স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই মেহেদী হাসান বাবুসহ এলাকার বেশ কয়েকজন।
এতে পড়ালেখা বদ্ধ সহ নানা আতঙ্কে দিন কাটছে কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজা আক্তার শ্রাবন্তীর।
এই ঘটনায় চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই মেহেদী হাসান বাবু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পার্শ্ববর্তী পতিশ গ্রামের খন্দকার বাড়ির কালু মিয়ার ছেলে কিশোর গ্যাং সদস্য মোঃ রাকিব কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজা আক্তার শ্রাবন্তীকে দীর্ঘদিন থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। ছোট বোনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রতিদিন স্কুলে আনা নেওয়া করতো স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই মেহেদী হাসান বাবু। তারি ধারাবাহিকতায় গত ১৪ তারিখে শ্রাবন্তীকে স্কুল থেকে আনতে গেলে কিশোর গ্যাং সদস্য মোঃ রাকিব, কিশোর গ্যাং সদস্য ভাওর কোটের হেলাল উদ্দিনের ছেলে ফাহাদ, কুমারগড়িয়ার মোঃ আলমের ছেলে শাকিল, কড়িহাটি চৌধুরী বাড়ির মোঃ স্বপনের ছেলের নাঈম, কড়িহাটির আলমগীর হোসেনের ছেলে হাসিব স্কুলছাত্রী ও তার বড় ভাই বাবুর পথ আটকিয়ে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি স্কুল থেকে কেন আনতে গেলে এই বলে বাবুর উপরে হামলা করে মারাত্মকভাবে আহত করে। এবং পরের দিন ১৫ তারিখ বুধবার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাকিব, ফাহাদ, নাঈম, সাকিল, হাসিবের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী সন্ধ্যার পরে অস্ত্রসহ স্কুল ছাত্রী খাদিজা আক্তার শ্রাবন্তীকে তুলে আনতে যায়। স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে এলাকাবাসীর উপর হামলা করে এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং দোকানপাট ভাঙচুর করে।
এই ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কবির মেম্বার জানান সন্ত্রাসীরা এলাকায় এসে হামলা করলে আমি তাদেরকে বাধা দিতে যাই তখন সন্ত্রাসী নাইম আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহমুদ হাসান সজিব জানায় কিশোর গ্যাংয়ের এই সন্ত্রাসীরা স্কুলছাত্রীকে তুলে নিতে না পেরে অস্ত্র নিয়ে এসে ফাঁকা আওয়াজ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
খিলপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য আমরা বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি, তারা আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। আমরা এখনো গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।