ঢাকা | ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ - ১০:৪৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন

  • আপডেট: Monday, February 6, 2023 - 7:42 pm
  • পঠিত হয়েছে: 121 বার

টাচ নিউজ ডেস্ক : ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর পোস্ট এনুমারেশন চেক (পিইসি)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আজ নগরীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে জনশুমারি সংক্রান্ত পিইসি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের জুলাইয়ে প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
পাওয়ার-পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে বিআইডিএস-এর মোহাম্মদ ইউনুস দেখিয়েছেন যে, গত জনশুমারিতে নেট কভারেজ ত্রুটি ছিল ২.৭৫ শতাংশ। আর ২০১১ সালে ৫ম জনশুমারিতে ত্রুটি ছিল ৩.৯৭ শতাংশ এবং ২০০১ সালের চতুর্থ আদমশুমারিতে ছিল ৪.৯৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, নেট কভারেজ ত্রুটির হার ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত জনশুমারির তুলনায় ১.২৩ শতাংশ কম। শহরাঞ্চলের তুলনায় এটি গ্রামীণ এলাকায়ও কম।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জাতি বিবিএসের কাছ থেকে হালনাগাদ তথ্য পেতে চায়। বিবিএস গত জনসংখ্যা শুমারি আন্তর্জাতিক পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৈজ্ঞানিক তথা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনা করেছে।
ড. আলম বলেন, ‘বিবিএসের তথ্য এখন আরও নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য এবং তাদের এই নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ২.৭৫ শতাংশ নেট কভারেজ ত্রুটি খুব সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বিবিএসের সক্ষমতাও নির্দেশ করে, কারণ এটি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত আগের জনশুমারির তুলনায় ১.২৩ শতাংশ কম।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সঠিক পরিসংখ্যান পেলে আমরা আরও সঠিক পরিকল্পনা করতে সক্ষম হব এবং এভাবে আমরা একটি সমৃদ্ধ ও স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো।’
পরিকল্পনা সচিব বলেন, সর্বশেষ জনসংখ্যার পরিসংখ্যান ব্যবহার করে জিডিপি, মাথাপিছু আয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান আরও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বিবিএস সঠিক পরিসংখ্যান জাতির সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে তারা তাদের ওয়েবসাইটে জনশুমারির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, ২.৭৫ শতাংশ পয়েন্টের নিম্ন নেট কভারেজ ত্রুটি বিবিএসের সক্ষমতা নির্দেশ করে।
আরও বক্তব্য রাখেন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
দেশে প্রথমবারের মতো জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজ পরিচালিত হয় গত বছরের জুনে।
পূর্ববর্তী জনশুমারি ২০১১ অনুসারে, ২০১১ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন।
দেশের প্রথম জনসংখ্যা ও খানাশুমারি ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এর পরে ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় জনশুমারি, ১৯৯১ সালে ৩য় জনগণনা, ২০০১ সালে ৪র্থ শুমারি এবং ২০১১ সালে ৫ম জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সর্বশেষ জন শুমারির রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে।
১৯৮১ সালে এই হার ছিল ২.৮৪ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ২.০১ শতাংশ, ২০০১ সালে ১.৫৮ শতাংশ, ২০১১ সালে ১.৮৬ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ১.২২ শতাংশ।
দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৭৪ শতাংশ এবং বরিশালে সর্বনিম্ন ০.৭৯ শতাংশ।
১৫ জুন ২০২২ সালে একযোগে সারা দেশে ৬ষ্ঠ জনশুমারি এবং খানা গণনা কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সপ্তাহব্যাপী আদমশুমারির সূচনা করেন।
২১শে জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বন্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ২৮ জুন পর্যন্ত জনশুমারি চলে। বিবিএস ১১ বছরেরও বেশি সময় পর এই জনশুমারি করে।
জনশুমারি কার্যক্রমের অধীনে, জনসংখ্যাগত এবং আর্থ-সামাজিক তথ্যের মতো পরিবারের সংখ্যা এবং তাদের প্রকৃতি, বাড়ির মালিকানা, পানীয় জলের প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জ্বালানীর প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, রেমিট্যান্স, পরিবারের সদস্যদের বয়স, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, বাধা, শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, জাতীয়তা এবং জেলাভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বাসস