ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে সরকার: রিজভী

  • আপডেট: Thursday, November 17, 2022 - 3:46 pm
  • পঠিত হয়েছে: 124 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনে রাখবেন। প্রতিটি আঘাতের সমান ও বিপরীতমুখি জবাব দেওয়া হবে। কাউকে গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। তারা সবাই আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের মুক্তি দাবিতে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, এই সরকারের একজন মন্ত্রী, যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উনি প্রতিদিন বলেন খেলা হবে। এটাতো ফিউচার টেনসে বলেছেন, প্রেজেন্ট টেন্সে বলবেন না খেলা চলছে। আপনি কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করেছেন, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা কামালকে গ্রেফতার করেছেন। এটা কি খেলার অংশ না? সারাদেশে সমাবেশ যাতে না হয় সেজন্য অনেককেই গ্রেফতার করেছেন। এটা কি খেলার অংশ? বিএনপির সমাবেশের ২ দিন আগে বাসমালিকরা ধর্মঘট ডাকে, এটাও তো আপনার খেলার অংশ। কারণ আপনার নির্দেশ ছাড়া এই বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডাকার কথা না। বিএনপির সমাবেশ শেষে তাদের ধর্মঘটও শেষ হয়, এটা তো আপনাদের খেলার অংশ।

তিনি বলেন, খেলা দেখাচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে। বিদ্যুতের নাকি বন্যা বয়ে গেছে। হাইওয়ে, বড় বড় ফ্লাইওভার উন্নয়নে গোটা দেশ ছড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষের আয় বেড়ে হয়েছে ২৮২৪ ডলার। আবার প্রধানমন্ত্রী একবার বলছেন দুর্ভিক্ষ হবে, আবার বলছেন হবে না। এই যে অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী। মানুষের যতি এত আয় বেড়ে থাকে তাহলে দুর্ভিক্ষ হবে কেন? কিন্তু দুর্ভিক্ষ চলছে। সরকারি চাল ৩০ টাকা কেজি যে ট্রাকগুলোতে দেওয়া হবে, সেই ট্রাকগুলোর পিছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকছে চালের জন্য। এটাই তো দুর্ভিক্ষের আলামত। ওবায়দুল কাদের ফিউচার টেন্সে বলেন খেলা হবে। কিন্তু খেলা তো চলছে মানুষের আহার নিয়ে, খাদ্য নিয়ে, ভোগান্তি নিয়ে। এসব দেশের জনগণ দেখছে, এর হিসাব কিন্তু আপনাকে একদিন দিতে হবে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বলে রিজার্ভে নাকি এখনো ৩৫ মিলিয়ন ডলার আছে। আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংককে বললো, হিসাব দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বললো, ২৪ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। আওয়ামী লীগ বলে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ২৪ মিলিয়ন ডলার। হঠাৎ করে কমে গেল কেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যেটা বলবেন সেটা? কিন্তু বাতাসে অনেক কথা বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত রিজার্ভ তার চেয়েও কম। রাজকোষ শূন্য অবস্থায় এসে পড়েছে। আওয়ামী লীগ বলছে ৩৫ মিলিয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ২৪ মিলিয়ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তো আপনাদেরই লোক। যেই আইএমএফ জানতে চেয়েছে তখনই রিজার্ভ কমে গেছে। দেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছে।

এই বিএনপি নেতা বলেন, কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করেছেন যাতে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে লোকজন কম হয়। কিন্তু এটা আপনাদের ভুল পলিসি। কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করার কারণে মুন্সীগঞ্জের নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে সফল করবে। তিনি অবিলম্বে কামরুজ্জামান রতনসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও আবদুল কুদ্দুস ধীরেনের পরিচালনায় মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, আলী আজগর রিপন মল্লিক, শহীদুল ইসলাম শহীদ, যুবদলের সোহেল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আওলাদ হোসেন উজ্জ্বলসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদরা।

এসময় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, মহিউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, শাহ আলম, এসএম জাহাঙ্গীর মহিলাদলের সাবেক সভাপতি পাপিয়া ইসলাম সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।