দেশে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পিএনপি এর চেয়ারম্যানের একান্ত সাক্ষাৎকার
টাচ নিউজ ডেস্ক: আমরা একটি গনতন্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল একটি গনতন্ত্রিক দল নির্বাচনে বিশ্বাসী। দেশের যে রাজনৈতিক সমস্যা বা সংকট এটা আসলে বতর্মান সরকারের সৃষ্টি। সরকার ২০১৪ সালে যে নির্বাচন করেছে সেটা একটা অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করে। ১৫৩ জন সংসদ সদস্য কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য খুব দুঃখজনক। এটি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী বৃহত রাজনৈতিক দলের জন্য কোন ক্রমেই মঙ্গল জনক হতে পারেনা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তুু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত যে সংগঠনটি তাদের স্বপ্ন ছিলো এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র মুক্তির জন্য। এবং তারা সংগ্রাম একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র ও একটি পতাকা তারা অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন কি এটাই ছিলো যে স্বাধীনতার পর তারা একতরফা ভাবে দেশ টাকে স্বাধীন ভাবে হরি লুট করবে যা এখন চলমান। ব্যাংকের রিজার্ভ শেষ দ্রব মূল্যের যে উর্ধগতি আজকে খাবারের জন্য ক্ষুধার যন্ত্রণায় সন্তান কে বিক্রি করছে মা এটা কি মেনে নেয়া যায়। তারপরও তারা বলছে এই দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। আসলে উন্নয়নের জোয়ারে না এটা দুর্নীতির জোয়ারে সমগ্র জাতি ভেসে যাচ্ছে। আমরা প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি ) এই জনগণ কে উদ্ধারের জন্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্টা করার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি আমাদের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদ দলের নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাবে। এদেশের মানুষের পুনঃ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্টা না হওয়া পযর্ন্ত আমরা লড়াই করে যাবো। তিনি আরও জানান গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনে যাবে। আমরা নির্বাচন কে বিশ্বাস করি। কিন্তু সেই নির্বাচন হতে সবে ফেয়ার এবং বতর্মান সরকারের অধীনে নয়। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ৭ দফা কর্মসূচি দিয়েছি ৭ দলীয় জোটের। আমরা সরকারের কাছে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কালীন প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা মনে করি যদি আমাদের এই প্রস্তাব মেনে নেয়া হয়। তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তাই আমরা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
দেশের বতর্মান প্রেক্ষাপট ও রাজনীতিতে একটি ক্লান্তি কাল বয়ছে এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন। দেশের যে ক্লান্তি কাল বয়ছে এই ক্লান্তি কালের জন্য সকল দলের সমন্বয়ের দরকার। দুই দলেরই নমনীয় হওয়া দরকার। সংঘাত দিয়ে কখনো কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। সমঝোতার মাঝে অর্জন করা সম্ভব। আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি ) বতর্মান কর্মসূচিতে তারা বিভাগীয় সমাবেশ করে যাচ্ছে। তাদের লোকসমাগম দেখে সরকার বিভিন্ন ভাবে মিথ্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এটাও খুব দুঃখজনক, তাদের গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে অঘোষিত অবরধ চলছে এসব কিছুই মেনে নেয়া যায়না। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করবে আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করবো সরকার তাদের কর্মসুচি পালন করবে। সাধারণ জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার ভার কাকে দিবে। বাধা দিয়ে কখনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমি অত্যন্ত বিনীয়ের সহিত বলতে চাই দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রধানমন্ত্রীকে দুই কোটি টাকার জন্য মামলা দেয়া হয়। সেই মামলা তাকে পাচ বছরের সাজাও দেয়া হয়। অথচ এই সরকারের থাকাকালীন হাজার কোটি টাকা লুট ও পাচার হচ্ছে তার কোন খবর নেই। অথচ একজন বয়জৌষ্ঠ মহিলা যাকে বাংলাদেশের জনগণ ভোটে দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাকে কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো ও রাজনীতি থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা চলছে। এরই জন্য দেশে ওয়ান এলিভেনের সৃষ্টি হয়েছিলো। যাদের জন্য সেই ওয়ান এলিভেনের সৃষ্টি হয়েছিল তারাই আজ সেই ওয়ান এলিভেন সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা চাই না বাংলাদেশে আর কোন ওয়ান এলিভেনের সৃষ্টি হোক। আমরা চাই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সমান অধিকার ও সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সাধারণ মানুষের বেচে থাকার অধিকার কর্মের অধিকার নিরাপত্তার অধিকার এটাই একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের সাধারণ জনগণ আশা করে।