স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার মূলপর্বে জিম্বাবুয়ে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শুক্রবার হোবার্টে স্কটিশরা আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্প্রিং বকরা। নিশ্চিত করে সুপার টুয়েলভ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম জিম্বাবুয়ে মূলপর্বে লড়াই করার সুযোগ পেল। ২০০৭ থেকে ২০২১; এর আগে কখনোই তারা গ্রুপপর্ব পেরুতে পারেনি। খেলতে পারেনি সুপার এইট, নকআউট পর্ব কিংবা সুপার টুয়েলভ। যে কয়বার খেলেছে তার প্রত্যেকবারই বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্ব থেকে। এবার বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসা স্প্রিং বকরা জায়গা করে নিয়েছে মূলপর্বে।
প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে তারা আয়ারল্যান্ডকে হারায় ৩১ রানে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় একই ব্যবধানে। তাতে শেষ ম্যাচটি তাদের এবং স্কটল্যান্ডের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়ায়।
সেই লড়াইয়ে বোলারদের পারফরম্যান্সে স্কটল্যান্ডকে ১৩২ রানের মধ্যে আটকে রাখে। এরপর ক্রেইগ আরভিন ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখেই জিতে নেয়। নিশ্চিত করে সুপার টুয়েলভ।
এদিন ১৩২ রান তাড়া করতে নেমে চার রানে প্রথম, সাত রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামস বিপর্যয় সামাল দেন। ৪২ রানে উইলিয়ামস ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর আরভিন ও অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার জুটিতে জয়ের ভিত পায় জিম্বাবুয়ে। আরভিন ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন, অন্যদিকে মারমুখী ব্যাটিং করেন সিকান্দার রাজা। তবে ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে রাজা আউট হলে ভাঙে ৬৪ রানের জুটি। রাজা মাত্র ২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে যান। এরপর ১৭তম ওভারে আরভিন আউট হলে শঙ্কা জাগে জিম্বাবুয়ে শিবিরে। আরভিন ৫৪ বলে ৬ চারে ৫৮ রান করে যান।
শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ে প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন রায়ান বার্ল ও মিলটন শুম্বা। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ৯ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
বল হাতে স্কটল্যান্ডের জশ ডাভি ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
তার আগে স্কটল্যান্ডের ইনিংসে ব্যাট হাতে মারকুটে ইনিংস কেউ খেলতে পারেননি। জর্জ মুনসে ৫১ বলে ৭ চারে করেন সর্বোচ্চ ৫৪ রান। কালাম ম্যাকলেয়ড ২৬ বলে করেন ২৫ রান। এছাড়া রিচি বেরিংটন ১৩ ও মাইকেল লিস্ক ১২ রান করেন। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ১৬ রান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের তেন্দাই চাতারা ও রিচার্ড এনগ্রাভা ২টি করে উইকেট নেন। বল হাতে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন সিকান্দার রাজা।