ঢাকা | এপ্রিল ২৫, ২০২৪ - ১২:৫২ অপরাহ্ন

কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবীতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

  • আপডেট: Thursday, February 23, 2023 - 3:51 pm
  • পঠিত হয়েছে: 91 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক:গতকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মিরা।
আজ পদবঞ্চিতদের মিছিল করে দুপুর দুইটার সময় চায়না মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
উক্ত সমাবেশে বক্তারা দাবী করেন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে দলের সক্রিয়, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রবাসী, অরাজনৈতিক ব্যাক্তি, সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠজন যারা, কিন্তু দল করেন না, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত ও ব্যাক্তিগত কাজের লোক দিয়ে কমিটি পূর্নাঙ্গ করেছেন।
তাদের দাবী সহ সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, সাব্বির আহমেদ দিপু। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুমুল হক মাসুম দলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে তাদের পদায়ন করা হয়েছে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান নিষ্ক্রিয়। সভাপতির কাছের লোক হিসেবে তাকে পদ দেয়া হয়েছে। সহসাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিশু বিগত আট বছর ধরে আমেরিকা প্রবাসী। তাকে অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে।
খন্দকার মাহবুবুর রহমান মাহী সভাপতির ব্যাক্তিগত কাজের লোক। একারনে তাকে পদ দেয়া হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাহবুব ওরফে কসমেটিক্স মাহবুব কে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পদ দেয়া হয়েছে।
বিগত কুড়ি বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকা তাজুল ইসলাম কে পদ দেয়া হয়েছে।
সাসুজ্জোহা সুমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ক্যাফে ক্যাম্পাস নামে রেস্টুরেন্টের মালিক। ব্যাবসার কাজে ১০ বছর যাবত দলীয় কর্মকাণ্ড করেন না। টুকু মুন্নার কমিটির পর সক্রিয় হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যম্পাসে যেতে পারেনা সেখানে সুমন ছাত্রলীগের সহযোগিতায় ব্যবসা করে আসছেন ১০ বছর ধরে। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এস এম ওবায়দুল্লাহ এলিফ্যান্ট রোডের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। বিএনপির বা যুবদলের কোন কর্মকাণ্ডে নাই ও জোবায়দুর রহমান জনি, আমান উল্লাহ বিপুল তিনজনেই সভাপতির অর্থের যোগানদার হওয়ায় তাদের পদ দেয়া হয়েছে।
ইউনুস আলী রবি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ আইন সম্পাদক হয়েছেন। সে এখনও বরিশাল উত্তর জেলা ও মুলাদী উপজেলা বিএনপির সদস্য। তাকেও অর্থের বিনিময়ে পদ দেয়া হয়েছে। নাজমুল হুদা রাজু, আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাক্তিগত কর্মচারী। তাকেও পদ দেয়া হয়েছে।
দলের পদপ্রাপ্ত নিষ্ক্রিয় নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কামরুল হাসান তালুকদার – সহ সাধারন সম্পাদক, খলিলুর রহমান – সহ সাধারন সম্পাদক, এন এম আব্দুল্লা উজ্জ্বল, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আয়ুব খান, মুরাদ খান, শাখাওয়াত হোসেন চয়ন, এস এম ওবায়দুল্লাহ, মাইনুদ্দিন রুবেল, মিজানুর রহমান শিশির, জাহিদ হাসান, প্রিন্স আহমেদ এমরান, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, খন্দকার মাইনুদ্দিন খোকন, রফিক আহমেদ ডলার, রুহুল আমিন বাবলু, দুলাল হোসেন, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মজিবুর রহমান সবুজ, সহ শতাধিক পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
পদবঞ্চিতদের দাবী যুবদলের কমিটিকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বিক্ষোভ মিছিলে সাবেক যুবদল যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন, আলি আশরাফ, মাহফুজুউর রহমান মিনার, সহ সাধারন সম্পাদক আবু সুফিয়ান দুলাল, আতিকুর রহমান আতিক, ওমর আলী বাবু।
ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি তারেক উজ জামান, নুরুজ্জামান মুকিত লিংকন, আশরাফুর রহমান বাবু, শোয়েব খন্দকার, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, জাকির হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব।
যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ, সামসুল আলম রানা, এবিএম মহসীন বিশ্বাস, সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক কাজী মেজবাউল আলম, সুমন চৌধুরী, আনোয়ার জাহিদ, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, শফিউল আজম, রাকিবুল হাসান হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম মাসুদ সরকার, সাবেক সহ সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ, মাজেদুল ইসলাম মাসুম, জিল্লুর রহমান কাজল, সৈয়দ আবেদীন প্রিন্স সহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।