ঢাকা | এপ্রিল ২০, ২০২৪ - ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

তুমি সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হও, সেও সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হবে

  • আপডেট: Monday, January 30, 2023 - 1:14 pm
  • পঠিত হয়েছে: 72 বার

রাজু আহমেদ মোবারক

“It’s choice, not chance, that determines destiny.”_Conway Stone
ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, পরিবারে পরিবারে, সমাজে সমাজে সম্পর্কে আমরা অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি করে চলি, তাতে প্রাণের মাঝে মধুময় অনুভুতির সঞ্চার হয়। আমরা পরস্পর পরস্পরে আমাদের এই অন্তরঙ্গ সম্পর্কই মানুষ হিসেবে নিজেদের মধ্যেই জানাজানি, বুঝাবুঝি, বলাবলি, মান-অভিমান এইসব মূল্যবান উপাদানগুলো যাদের মধ্যেই থাকে তারাই সম্পর্কে
পরস্পর পরস্পরে অন্তরঙ্গ থাকেন। তাদের এই সম্পর্ক দৈনন্দিন জীবনাচারণ ও আচরণে তা প্রকাশ পেয়ে থাকে। সম্পর্কে যখন আমরা পরস্পর পরস্পরে অন্তরঙ্গ থাকি তখনই আমরা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করি হৃদয়ের মধুর শক্তির উৎস থেকে। আমাদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তাদের অন্তরেই প্রতিষ্ঠা পায়, যারা সত্য সুন্দরের সন্ধানে থেকে সত্যাশ্রয়ী ও সুন্দর মনের মানুষ হয়ে অপরাধপ্রবণ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকেন সম্পর্কের মধুর সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য।
আমরা মানুষ হিসেবে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নানা মানুষের সাথে নানা কাজ করার সময় আমাদের মনের গতিপথ বদলায়। কখনো কখনো আমরা অন্য মানুষের মনের গতিপথ রোধ করার চেষ্টাও করি,
হিংসা-বিদ্ধেষের গতি অন্তরে উর্ধ্বমুখীতার কারণে। কিন্তু আমরা যখন
আমাদের নিজেদের জীবন চলার পথে মনের গতিপথের সৌন্দর্যের
স্বরূপ রক্ষা করার জন্য নিয়ন্ত্রণে রেখে চলি, তখনই মনকে চতুর্দিকে ধাবিত হওয়ার মন্দ কাজের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে মানুষ হিসেবে সম্মানজনক স্হানেই থাকতে পারি। তুমি যদি কাউকে ভালোবাস প্রাণমন খুলে সেও কিছুই না কিছুই প্রাণমন খুলেই তোমাকে ভালোবাসার প্রাণটুকু খুলেই দেখাবে। যখনই তুমি তোমার প্রাণ
খুলেছ তার জন্য তার প্রাণের গতিপথ জানারও চেষ্টা করো, তাতে তোমার প্রাণেও তৃপ্তিবোধের অনুভূতির অনুভবের শক্তি আসবে একেবারেই হৃদয় থেকে। আমরা সবাই জীবনে সুখী হতে চাই। সুখী ও

সার্থক জীবনই আমাদের সকলের একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু এই সুখের জীবন আমাদের নিজেদের অর্জন করার নিমিত্তে মানুষের সাথেই চলনে-বলনে-কাজে এইসব ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকেই ব্যস্ত থাকতে হয়। আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক যত সাফল্যই আসুক না কেন, মনের তৃপ্তিবোধের সাফল্য যদি স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে আমাদের না থাকে, আমরা কখনোই সুখী মানুষ নয়। বিশেষত, সম্পর্কের ভেতর প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আমরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হতে পারি আমাদের প্রিয়জনদের সাথে। তুমি সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হলেই তোমার স্ত্রী তোমার সাথে অথবা তোমার স্বামী তোমার সাথে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হবে। একটু ভেবে দেখ তো, তোমাদের এই দুইজনের মধ্যবর্তী স্হানে কে কে আছে? ওরা তোমাদেরই সন্তানরা। আমাদের সন্তানদের যদি মনোরম ও সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি করে মানুষ করতে চাই, আমরা পিতা-মাতাই যেন সর্ব প্রথমে সর্বত্রই সম্পর্কে অন্তরঙ্গ থাকি। সত্য সুন্দরের সন্ধানে থেকে তুমি যখন সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হবে, সেও তোমার সাথে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হবে। আমাদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা পরিবারের সকলের সাথে মাধুর্য ভরা প্রাণ নিয়ে পরস্পরের অন্তরে অনুরিত হবে।
তবে আমরা একেবারেই যেন ভুলে না যাই, যখনই আমরা সম্পর্কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে সত্য সুন্দরের সন্ধানে থেকে সত্যাশ্রিত মানুষ হয়ে চলি। একই সাথে সম্পর্কে অন্তরঙ্গতার শক্তি বৃদ্ধির আলোকে পরিবারের সৌন্দর্য ও সন্মানবোধ রক্ষিত করার প্রয়োজনে সমাজ রাষ্ট্রীয় জীবনে চুরি-দুর্নীতি-ঘুষ এইসব নষ্ট কর্ম যেন পরিহার করে চলি। তোমরা যখনই সত্য পথে থেকে সত্যাশ্রিত মানুষ হবে, এতে যে তোমাদের সকলেই সকলের প্রাণে সঞ্চারিত করে অন্তরে নানা ধরনের নানা ফুলের সুগন্ধীময় সুবাস তোমাদের সকলেই বহন করে পরস্পরে নিয়ে যাচ্ছ। একবার যদি এই সুগন্ধীময় সুবাসের স্নিগ্ধ মনোরম মন ও ভালোলাগা অন্তরে অন্তর্গত করা যায়, তা অবচেতন মনেই আপনার-আমার সকলের প্রাণের সৌন্দর্য্যের রুপ বের হবে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য। আমরা আমাদের মনোরম সম্পর্কের ভেতর প্রাণ প্রতিষ্ঠার মন যখন তৈরী করার চেষ্টা করবো, মনের ভেতরে যে সুন্দরের রূপের প্রবাহ আছে, সেটা যেন পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যাচার, নষ্টতা, নিষ্ঠুরতা ও হত্যাযজ্ঞ এইসব জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করে যেন নষ্ট

না করে ফেলি।
2)
“There will come a time when big opportunities will be presented to you, and you have got to be in a position to take
advantage of them.”__Sam Walton
মানুষে মানুষে পরস্পর পরস্পরে সকল ক্ষেত্রে সকল কাজেই অন্তরঙ্গ মনোভাবের সৃষ্ট সৌন্দর্য দ্বারা আমাদের সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ করে তুলি। এই অন্তরঙ্গ মধুর সম্পর্ক আমাদের নিজেদের ঘর থেকে যখন শুরু হয়, তা তখনই সকলের মাঝেই এই মূল্যবান অন্তরঙ্গ সম্পর্কের বিকাশতা ছড়িয়ে পড়ে। এই অন্তরঙ্গ সম্পর্কই আমাদের মননে মনোরম প্রাণ
দিয়ে তৈরী হয়। তা আমাদের ঘর-সংসারে, ধর্ম-কর্মে, প্রেমে, মনোযোগে, হাসিতে, বৈকালিক-সন্ধার হাঁটাহাঁটিতে সর্বত্রই প্রিয়জনদের প্রাণে সঞ্চারিত হয় অন্তরঙ্গ সম্পর্কেরই প্রাণের প্রবাহ। আমাদের প্রিয়জনদের অস্পষ্টতার সম্পর্ক যখনই স্পষ্টতার সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত প্রদর্শন করে, তাতেই যে প্রমাণ করে যে আমরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হতে শুরু করেছি। আমাদের জীবনের জন্য ধনসম্পদ এই মূল্যবান জিনিস পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে খুটি শক্ত করে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য। এই মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার সাথে সাথে আমাদের সকলের সাথে সকলে সংগীবাস করে প্রতি দিনের সুখানুভূতির জন্য স্পষ্টতই সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা যেমন ক্রমাগতই বৃদ্ধির প্রয়োজন, অন্যদিকে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে টিকে রাখাও প্রয়োজন। আমরা পরস্পর পরস্পরে সুন্দর মনের মানুষ হতে চাই, পরস্পর পরস্পরের প্রিয়জন হতে চাই, কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অর্জন করার জন্য পরস্পরে অন্তরের সৌন্দর্য আমাদের নিজেদের জীবনের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন। এই সুখী হওয়া অত্নপ্রত্যয়ী মানুষেরা সুখের পরশে জীবন চালিত করার জন্য নতুন পথের সন্ধানে থাকেন এবং মন্দ কাজের মধ্য থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অন্তরের সৌন্দর্যের প্রবাহের মাঝে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখেন। আমাদের অন্তরের সৌন্দর্য যদি সকলের প্রাণের প্রবাহে প্রবাহিত করি এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ থাকি, তবে আমাদের কথাতে, হাসিতে, আড্ডায়, মেলামেশায়, হাঁটায় অনেক বেশিই মনোরম মনে হবে। তুমি-আমি আমাদের মনের ভালো লাগার মাঝেই আমাদের ভালোর সন্ধান খুঁজে পাব। আমরা সকলেই

যখন সকলের প্রিয় প্রাণে বাস করে আপন মানুষে পরিণত হয়ে পরস্পরে অপাপবিদ্ধ হৃদয়ে থাকব, পরকালের মৃত্যু ভয়ে চৈতন্যহারা হয়ে আল্লাহকে পাবার জন্য বনবাসী হয়ে ছেলে মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে ঠকাতেও হবে না। সত্য সুন্দরের সন্ধানে সত্যাশ্রিত মানুষেরাই সুন্দর মনের বিনিময়ে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হয়েই পরস্পর
পরস্পরের জন্য মনোরম প্রাণের মানুষ হয়। এই আমাদের দেশ, এই-ই আমাদের পৃথিবী। এই পৃথিবীর মানুষে মানুষে পরস্পরের মাঝে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রয়েছে। এই আপনজনদের আপনার প্রাণে সম্পর্কে কতই না ভালো লাগালাগি, ভালো বাসাবাসির কতই না প্রাণের মাঝে প্রাণের টানাটানি, কতই না আপন মানুষকে ভুলে না থাকতে পারার অনুভবের মনোযাতনা রয়েছে! এইসব মনোরম অনুভূতির স্বাদ যারা অপাপবিদ্ধ থেকে প্রিয়জনদের সাথে জীবন অগ্রসর করেন বা করেছেন, তারাই সত্যিকার ভাবে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হতে পারেন। আবার অন্তরঙ্গ সম্পর্কও
পরস্পর পরস্পরে করতে পারেন যখন পরস্পর পরস্পরের হৃদয়ের খোঁজ পেয়ে থাকেন। তোমার-আমার এই সুন্দর প্রাণ রন্জিত ও গঠিত হয়ে থাকে তোমার-আমার প্রাণের সম্পর্কের অন্তরঙ্গতার কারণেই।
3)
“To excel, ignore your weaknesses, and focus on your strengths.”__ Paul J. Meyer
আমাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্যেই হচ্ছে আমরা যেন সুখের সন্ধানে থেকে সুখী মানুষ হই। আমাদের সুখী মানুষে পরিণত হওয়ার জন্য যা আমাদেরকে সুখী করবে সেগুলোর উপর স্পষ্টতার চিত্রায়ন অন্তরে লালন না করা পর্যন্ত সুখী হওয়া কি সম্ভব? আমাদের এই চালিত জীবনে দয়ামায়া, ধর্মকর্ম,পূন্যতা, ভালো মানসিকতা দেখিয়ে মানুষের জন্য ভালো কাজ যতই আমরা করে যাই না কেন, আমাদের প্রিয়জনদেরকে “প্রিয়প্রাণে প্রিয় আসনে সমাসীন না রেখে” সুখের সন্ধানে অনুসন্ধিস্যু মানুষ হলেও সুখী মানুষ হতে চাইলেও সুখী হতে পারা যায় না। আমার-আপনার সমস্ত সৃষ্ট কাজই আমাদেরকে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে মানচিত্রের মতোই অসাধারণ ও সাধারণ এই দুই চিত্রেই চিত্রায়িত করে। আমাদের পারিবারিক মেলবন্ধনই আমাদেরকে সুখী মানুষ করে। এই পারিবারিক প্রতিষ্ঠানটিই সুখী হওয়ার মূল জায়গা। এই

জায়গাতেই আমাদের সকলেরই চাষাবাদ সব চাইতে বেশিই করা প্রয়োজন। এই মূল্যবান মানুষগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নত করাও ভীষণ প্রয়োজন। আমার-আপনার পরিবারে আগাছা উঠার সুযোগ দিয়ে, রাজনৈতিক মাঠে ময়দানে অন্তরের সৌন্দর্য গোপনে রেখে উপরে লেবাসের সুন্দর পোষাক পড়ে, মাঠ গরম করে জনপ্রিয় নেতা হলেও সুখ আপনার-আমার জীবন থেকে যে চিরকালের জন্য তিরোধান হয়ে যাবে তা একটুও কি ভেবে দেখেছেন? আমাদের পরিবারই আমাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের যত্নবান মানুষেরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। কারণ, পরিবারে যারাই সুন্দর থাকেন তারাই ভালো ও সুন্দর মনের মানুষ হয়ে সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র উপহার দেওয়ার প্রাণ সঞ্চারের হৃদয় তৈরি করে থাকেন। যে মানুষটি পরিবারের সৌন্দর্য সকলের মাঝে বহন করে নেওয়ার মতো তাৎপর্যপূর্ণ মানুষে পরিণত হন তিনিই পরিচিত সকলের কাছেই দৃশ্যায়িত সম্মানিত মানুষ হয়ে থাকেন।আপনার-আমার মাঝে যখনই সুন্দর বোধের অনুভূতি অন্তরে সৃজিত হয়, তাও আমাদের পরস্পরে মনোরম সম্পর্কের অন্তরঙ্গতার কারণে। তুমি যখনই তোমার স্পষ্ট চরিত্র গঠন করে সত্যাশ্রিত মানুষে পরিণত হবে, তুমি সম্পর্কেও অন্তরঙ্গ থাকবে মানুষের সাথেও অতীব মনোরম প্রাণে। তোমার অন্তরটি যখন সুন্দরের রূপান্তরে রুপের ধারায় চালিত থাকবে, তুমি কখনোই মন্দ কাজে আসক্তির যে চৈতন্য তোমার অন্তরে প্রবাহিত হওয়ার নমুনা উদিত ছিল, সেটি নিমেষে নিবে যাবে। সত্য সুন্দরের সন্ধানে থেকে আমি-তুমি যখন আমাদের পরিবারের লোকজনের সাথে পরস্পরে নিবিষ্ট চিত্তে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক অন্তরে সৃষ্টি করি, তবেই আমরা প্রিয় মানুষ হয়ে পরস্পর পরস্পরের অন্তরেই যাতায়াত করতে সক্ষম থাকি। আমরা যখন পরস্পরে পারিবারিক সান্নিধ্যে আমাদের নিজেদেরকে বুঝতে পারব যা আমাদের প্রিয়জনদের সম্পর্ককে আরও বেশি মনোরম করবে। আমি-তুমি যখন আমাদের বিমোহিত প্রাণে যে ক’দিন, মাস, বছর বেঁচে থাকব এই সুন্দর পৃথিবীতে তা যেন একান্তই আমাদের রুপের কাঠামোর চরিত্র নিয়েই দাঁড়ায় মানুষের কাছে মনোমুগ্ধকর প্রাণে যেন আমাদের পাশের লোকজন আমাদেরকে দেখে ভয় সঞ্চারে, তাদের মনটাকে সংকোচিত না করে চলেন। তুমি কেমন করে বুঝবে যে, তুমি তোমার সুন্দরের সৌন্দর্যে রূপের অন্তরঙ্গ সম্পর্কে সবার মধ্যেই বিচরণ করে মিলে মিশে

আছ? যখন দেখবে সকলেই তাদের সত্যিকার ব্যক্তিত্ব প্রকাশের মধ্য দিয়েই তোমার কাছে তাদের মুখ ফুঁটে কথা বলতে কোন দ্বিধান্মিত মনোভাব প্রকাশ না করে, তোমাকে তাদের অন্তরে আপন করে নেয়। তোমার প্রিয়জন যখন তোমার অন্তরকে জেনে-বুঝে তোমার সাথে চলতে পথেও হাসতে অভয়ে থাকেন তখনই বুঝবে যে তোমার জন্মে অনেক ভালো কাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ করে গেলে। কারণ, তুমি তোমার মনটি তাদের প্রতি খুলে ফেলেছ বলেই ওরা তোমার সংগে দ্রুতই অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তুমি যদি কারো প্রতি সম্পর্কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতেই চাও, তুমি সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হও তোমার অন্তর থেকেই। সেও সম্পর্কে তোমার প্রতি অন্তরঙ্গ হবে। তোমাদের-আমাদের সকলের অন্তরঙ্গ সম্পর্কই প্রতিষ্ঠা করে প্রাণের সম্পর্ক। আমাদের এই সুন্দর প্রাণের সম্পর্কই সুন্দর পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবী গঠন করে। আমরা সবাই যেন সম্পর্কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে চলি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হিংসা-বিদ্ধেষ নির্মূলে।
4)
“The heart of a fool is in his mouth, but the mouth of a wise man is in his heart.”__Benjamin Franklin
পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষেরই অবস্থান বেধে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে পরস্পরে। এইসব সম্পর্কেরও উত্থান ও পত্তন আছে। সম্পর্কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে চলা বলা যতটাই না সহজ,
স্হাপিত সম্পর্ক রক্ষা করে চলা বড়ই কঠিন। কিন্তু বাস্তবে যে কাজগুলো করা কঠিন, সেগুলো করার মতো করতে পারলে সেগুলো সহজেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কোন কিছুই নিয়ন্ত্রণে ও আয়ত্তে আনা যায় না যদি আপনার-আমার মাঝে পরস্পরে আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে প্রাণের সৌন্দর্যের মাধুর্য উপভোগ করার কোনই সুযোগ না থাকে। আজকাল স্বামী-স্রীর মাঝেও যদি প্রেম-ভালোবাসার একান্ত চিত্তের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের অভাব-অভাব বোধের পরিবেশ থাকে, তারা অন্তরে অন্তরে লুকোচুরি করে পলায়নপরতার মানসিকতা উদ্রেক করে চলেন। এতে দুইজনই সম্পর্কের মধুময় মাধুর্যের মনোরম পরিবেশ যা প্রত্যেকের অন্তরে অনুরিত হয় সেটাও তারা অন্তরে দুর্বল করে ফেলেন। তাদের মনোঃজগৎ দুর্বলতার শীর্ষে উন্নিত করার কারণে

রীতিমতই পরস্পর পরস্পরে অন্তরে পালিয়ে থাকি থাকি এই রকম মানসিকতার মধ্যে নিজেদেরকে নিমজ্জিত করে ফেলেন। আমরা স্বামী-স্রী যখনই পরস্পরে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ থাকার পরিবেশ নিজেদের ঘরের ভেতর পরিবেশন করে যাব, আমাদের সন্তানরাও মনোরম মনের মানুষ হওয়ার মনোরম পরিবেশ পেয়ে পরিবারের সবার সংগে সম্পর্কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবে এবং একই সাথে সম্পর্কে অন্তরঙ্গও থাকবে। আমাদের পরিবারের লোকজনের মাঝে যখন মনোরম সম্পর্ক থাকে, আমরা পরস্পরে অন্তরঙ্গ হয়ে মায়া মমতার প্রাণের প্রবাহে প্রবাহিত হই অনুভূতির শক্তিতেও। এই প্রবাহিত প্রাণের আপন মানুষকে দূরে রেখে চলা যে, হৃদয়ের কান্না চোখের কান্নায় রুপান্তরিত হয় জল ভরা স্রোতে। সত্য সুন্দরের সন্ধানে মনোরম মনে প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্কে অন্তরঙ্গ হলেই আমরা আমাদের সুন্দর পরিবার গঠন করতে পারি। যে পরিবার সম্মানিত মানুষ হিসেবেই বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হতে পারে সমাজ ও রাষ্ট্রে। যাকে তুমি প্রাণের মাধুর্য দিয়েই প্রাণের সমস্ত সৌন্দর্যের রুপ দিয়েছ তোমারই অন্তরে যাকে তুমি রেখেছে বড়ই আপন করে তোমারই হৃদয়ে। সে যখন তোমায় ছেড়ে চলে যাবে কোন অজানা দূরত্বে। সেই চলে যাওয়ার বেদনা যা এই কঠিন যাতনা তা কিন্তু সহজেই ভুলেও ভুলে যাবার মতো নয়। তোমার সাথে আমার সম্পর্কের অন্তরঙ্গতার শক্তির কারণে আমার মনের গতিপথ দ্বারা আমাকেই আমি আবিষ্কার করেছি আমার হৃদয়ে। তোমার চলে যাওয়ার বেদনা, আমাকে কাঁদালেও আমি যে তোমায় ভালোবেসেছি। হৃদয়ের অন্তস্তলে তোমায় রেখেই চলেছি। তোমায় যে আমি প্রতি মুহূর্তেই পাই আমারই হৃদমাজারে। আমার বিধাতার কাছে আমার অনুরোধ রেখে চলি, তুঁমি আমায় যে হৃদয় দিয়েছ তা যেন ঠিক সে-ই আগের মতোই থাকে। যাকে হৃদয়ে ধরেছি আপন করে সে যেন সেই আগের মতোই থাকে আমার প্রাণে। তুমি নেই, তবু যেন আমি তোমায় পাই আমার হৃদয়াতলে। তুমি যে শরীরে আমার পাশে থাকতে ঠিক সেই-ই ভাবে। তোমাকে আমার বিমোহিত প্রাণে এই প্রাণের সম্পর্কে প্রাণে পেয়েছিলাম বলেই তোমার প্রাণ আমার প্রাণে মিশে আছে সেই কবে থেকেই প্রিয়প্রাণের মানুষ হিসেবে। ঐ যে তুমি বলেছিলে আমাকে ছেড়ে এক পাও যাবে না! আমি এখন তোমাকে সেই আগের হাঁটায়, কথায়, হাসি, তোমার বৈকালিক সন্ধার আড্ডায় খুব

মনোরম প্রাণেরই দেখি! তুমি যেন ঠিক আগের মতোই পাশেই বসে আছ
রুপ সৌন্দর্যের স্বরূপ নিয়েই। তুমি যে সেই আগের মতোই সেই প্রিয় প্রাণের আমার প্রিয় মানুষটিই! মানুষ যখন সম্পর্কে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে চলেন প্রিয়জনদের প্রিয়প্রাণ তার সাথেই বাস করে।
“When you cease to dream you cease to live.”__ Malcolm S. Forbes