টাচ নিউজ ডেস্কঃ ইউক্রেনের মাকারিভ শহরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে দেশটির সেনারা। রাজধানী কিয়েভ থেকে পশ্চিমের এই শহরে কয়েক দিন দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছিল। ইউক্রেন বাহিনীরা রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে হটিয়ে নিজেদের পতাকা উড্ডয়ন করেছে।
ইউক্রেন বাহিনী দাবি করেছে, কিয়েভ থেকে ৩০ মাইল পশ্চিমের শহর মাকারিভ থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে সেখানে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে এ দাবি করে। এতে বলা হয়, রুশ সেনাদের হটিয়ে দেওয়ার পর মাকারিভ শহরে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সিএনএন নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে ইউক্রেনের দাবির বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।
মাকারিভে নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়ে রাশিয়ার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে রাশিয়ার বিমান হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাকারিভ শহর। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শহরটির ধ্বংসযজ্ঞের ছবি খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় সিএনএন। আবাসিক ভবন, স্কুল, চিকিৎসাকেন্দ্র—রুশ হামলা থেকে কিছুই বাদ যায়নি। এদিকে দোনেত্স্ক অঞ্চলের আভদিভকা শহরে রাশিয়ার বিমান ও গোলা হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৯ জন। গত সোমবার দিবাগত রাতে ওই হামলা চালানো হয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আবারও সরাসরি আলোচনায় বাসার আহ্বান জানিয়ে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আলোচনার টেবিলে আসুন। সেখানে সব বিষয় থাকবে। সেখানে ক্রিমিয়া ও দনবাস প্রসঙ্গও থাকবে। যুদ্ধ বন্ধ করতে আলোচনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জেলেনস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, রাশিয়া আত্মসমর্পণ করার আগে পুরো ইউক্রেনকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করবে। ’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ দুই পক্ষের শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে বলছেন, আলোচনা চলছে। তবে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা আরো সক্রিয় ও গঠনমূলক হতে হবে। এদিকে গতকাল ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ইতালির পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার ওপর আরো কঠোর অবরোধ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।